সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ থেকে অপহরণের শিকার হওয়া দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে বাগেরহাটের পিটিআই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তিন অপহরণকারীকেও আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১১টায় তাদের করা হয়।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যবসায়ী নুরুল আলম ও মুসলিম উদ্দিন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের বাসিন্দা।
গত ৩০ জুলাই বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের লাকমা গ্রাম থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত)মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার।
অপহরণের দায়ে আটক হওয়া তিনজন হলেন, বাগেরহাটের ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটেবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তুহিন মিয়া, একই উপজেলার উত্তর-পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে পারভেজ হাওলাদার ও পিরোজপুরের পারগুল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আজগর আলী।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ জুলাই বিকেলে দলিল করার কথা বলে নুরুল আলম ও মুসলিম উদ্দিনকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে তুহিন, পারভেজ ও আজগর। পরে নুরুল আলম ও মুসলিম উদ্দিনকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে মোটরসাইকেলে করে সুনামগঞ্জ শহরে আনা হয় এবং সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের বাগেরহাটের পুরগুল এলাকায় এনে আটকে রাখা হয়।
এরপর অপহৃতদের স্বজনদের কাছে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তুহিন,পারভেজ ও আজগর। পরে দর কষাকষি করে ৫লাখ টাকা চূড়ান্ত করা হয় এবং অপহৃতদের স্বজনরা তা এসএ পরিবহনের মাধ্যমে অপহরণকারীদের পাঠান। ওই টাকা তোলার সময় বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, ভান্ডারিয়া ও তাহিরপুর থানার পুলিশ অপহরণকারীদের আটক করে ও অপহৃতদের উদ্ধার করে।
ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খানের নির্দেশনায় ৩১ জুলাই থেকে পুলিশ অপহৃত ব্যবসায়ীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এর চারদিন পর আজ তাদের উদ্ধার করা হয়।