চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো অস্ফালন করে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয়, তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খুশি নয়। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির রক্ষাকবচ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।

এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তারা নানাসময় দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, করোনার সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে।

তিনি বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশেও আমদানি নির্ভর কিছুপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এতে নিম্ম আয়ের মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে। যাতে কম মূল্যে তারা টিসিবি’র পণ্য কিনতে পারেন। এতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে স্বস্তি আসাতে বিএনপি ও কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে।

শুক্রবার ২৫ মার্চ দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল, এটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি, আমাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক। কিন্তু একটি দলের নেত্রী যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি যখন বলে,ন আসলে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারা যায় নাই, তখন এই গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে তো সেই প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মহল করে। বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার এই ধরণের বক্তব্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিএনপির প্রচেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। না হয় আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজে পেতাম।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী আছে যারা রাত বারোটার পর সক্রিয় হয়। এমনিতে ফকিরকে দুই টাকা খয়রাত দেইনা। দেখলাম যে, ভং ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে থালা নিয়ে বসছে। তাদের কাছে জনগণতো দূরে থাক, তাদের আত্মীয় স্বজনরাও যেতে পারে না। সবার কথা বলছি না। তাদের কোন কাজ নেই, ওদের কাজ হচ্ছে, আপনি কি কাজ করছেন, আমি কি কাজ করছি, সরকার কি কাজ করছে এসবের ভুল ধরা। আমি ওদের নাম দিয়েছি ভুল ধরা পার্টি। রাত বারোটার পরে ভুল ধরা পার্টি সক্রিয় হয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগ্রত করে পলে পলে আন্দোলিত করে যেই নেতা স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলনের পথ বেয়ে আমাদের দেশপ্রেম উজ্জীবিত করেছিল, স্লোগান শিখিয়েছিল, তিনি সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা পোড়ামাটির নীতি অনুসরণ করে যেই বাংলাদেশকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে পুনর্গঠিত করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বঙ্গবন্ধু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেই হারে যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে থাকতো, তাহলে স্বাধীনতার ১৫/২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত রাষ্ট্র।