‘অপরূপ রাজনৈতিক নায়ক’ এই অভিধাটুকু আমরা এবার মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের আমন্ত্রণলিপিতে ব্যবহার করেছি। ত্রিশ বছর আগে এই দিনে যিনি ‘বিশ্ব বিপ্লবের সদর দফতর’ মস্কোতে প্রয়াত হয়েছেন। তখন আমরা বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের এক উদ্ভাবনী প্লাবনে প্রবাহিত হয়েছিলাম। ১৯৮৭। অক্টোবর। ভয়াবহ প্রাকৃতিক প্লাবন। অনাহার, ডায়রিয়া। আমাদের যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় দফতরকে আমরা খাবার স্যালাইন উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যমী শ্রমে লাখ লাখ প্যাকেট জীবনদায়ী এই ডায়রিয়া-প্রতিকারের আয়োজন করে যুব আন্দোলনের জন্য নবদিগন্তের আভাস সৃজন করেছিলাম।
মস্কো থেকে মোহাম্মদ ফরহাদ আমাদের লিখে পাঠালেন, ‘দূর্যোগ থেকে সৃষ্ট আপনাদের এই প্রকল্প। এটাই বস্তুবাদী দর্শন।’ ভেবেছিলাম তিনি মস্কো থেকে ফিরে এলে আমাদের উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতার নানা মাত্রা নিয়ে অনেক কথা বলবো। একটি কার্যকর যুব আন্দোলনের নবমাত্রার পথরেখা এঁকে নেবো। এক প্রত্যুষে যুব ইউনিয়ন প্রধান মাহবুব জামান টেলিফোনে জানালেন এই আকস্মিক স্তব্ধ হবার মতো বিষাদ সংবাদ। ফরহাদ ভাই নেই। মাত্র ৪৯ বছর বয়সেই তিনি শারীরিকভাবে অনুপস্থিত হয়ে গেলেন চিরকালের মতো।
‘বিশ্ব বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র’ হিসাবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিবেচনা করতেন বাংলা মায়ের এই সন্তান। ‘আকণ্ঠ বিপ্লব পিয়াসী’ হিসাবে যাঁকে অভিধা দিয়েছিলেন শোকাভিভূত সহকর্মী। এই বিপ্লব বাংলাদেশের বুকে সংগঠিত এবং সংঘটিত করার জন্য একবিংশ শতাব্দীর সূচনাকালকে তিনি নথিভুক্ত করে নিয়েছিলেন। সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সব কিছু। সর্বপ্রকারের আন্দোলন। শ্রমিক-কৃষকের পাশে ক্ষেতমজুর। এই সূচীমুখে ছাত্র-যুব-নারী-শান্তি-মৈত্রী। কী অপরূপ রসায়ন।
সোভিয়েত পার্টির সর্বশেষ কংগ্রেস থেকে তথ্যপুষ্ট হয়েছিলেন: দু’হাজার সালের মধ্যেই সোভিয়েত ভান্ডারের উৎপাদিকা শক্তি হবে দ্বিগুণ। এই বিশ্বপটভূমিতে এগিয়ে চলো বাংলাদেশ একটি অনিবার্য বিপ্লবের অভিমুখে। কিন্তু হঠাৎ, অকালে, বড় বেশি অকালে, তিনি চলে গেলেন। ১৯৬৩ সাল থেকে গোপন ভুবনেই তার সঙ্গে পরিচয়, নবম শ্রেণীতে পড়ি, থাকি পোস্তগোলায়। আমাদের বাসায় মাসে একবার অন্ততঃ জগন্নাথ কলেজ পার্টি সেলের গোপন সভা হতো জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সূত্রে।
১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭। এমন নিরলস, নিষ্ঠাময়, সুনিপুন, সুকৌশলী, অপরূপ রাজনৈতিক নায়কের উত্থান একপ্রকার চোখের সামনেই ঘটে যাবার উপাখ্যান নির্মিত হতে দেখলাম। ব্যক্তিগতভাবে সাংস্কৃতিক-বিনোদন ভুবনে নায়ক উত্তমকুমারের নিমগ্ন ভক্ত এখনও আছি। খেলাসহ নানা ভুবনের অনেক কৃতিজনের মোহাবিষ্ট এখনও আছি। আমাদের সময়কালে ষাট-সত্তর-আশির দশকে অনেক পার্শ্বনায়কের প্রতিই মুগ্ধ ছিলাম, আছি। তবে কমিউনিস্ট আন্দোলনে একজন মোহাম্মদ ফরহাদের মতো সবদিক গুছিয়ে এগোবার সাংগঠনিক অনবদ্য ব্যক্তিত্ব, এমন অপরূপ রাজনৈতিক নায়ক আর দেখিনি।
এতো খুঁটিনাটি দেখতেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের দশম প্রাদেশিক সম্মেলন’-এর মূল রিপোর্ট প্রণয়ন করেছেন ফরহাদ ভাই। বংশালে মতিভাই (বর্তমানে প্রথম আলো সম্পাদক) দের বাসার দ্বিতলের একটি কক্ষে দিন পনেরো ধরে তিনি রিপোর্টটি প্রণয়নে তখনকার কলেজ ছাত্র আমাকে অনুলেখক হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। প্রতিটি শব্দ, বাক্য, প্যারা, অধ্যায় মেপে মেপে, আমার মতো কাঁচা ভাবনার অনুজপ্রতিমের সঙ্গে আলোচনা করে করে এই কাজটি সম্পাদন করেছেন ফরহাদ ভাই। সেই রিপোর্টে মেননগ্রুপ ছাত্র ইউনিয়নের বক্তব্যসমূহকে তিনি অসার প্রতিপন্ন করে জাতীয় রাজনীতির মূলধারার সঙ্গে বাম ধারার কার্যকর সেতুবন্ধ রচনার প্রয়োজনীয়তার যুক্তিগুলো তুলে ধরেছিলেন। ওই রিপোর্টের কপি কারো কাছে আছে কিনা জানিনা। এটি একটি মূল্যবান রাজনৈতিক ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে গণ্য হতে পারে। অন্ততঃ বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের রাজনীতির বিবেচনায়।
প্রয়াত সম্পাদক বজলুর রহমান বলেছেন, পঞ্চাশের দশকের শেষভাবে সুদূর পঞ্চগড়-বোদা থেকে একজন তরুণ স্বপ্ন বুকে নিয়ে রাজধানী ঢাকায় এসেছিলেন জাতীয় নেতা হবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে, মোহাম্মদ ফরহাদ একজন জাতীয় নেতার পরিচিতি নিয়েই অকালে প্রয়াত হয়েছেন। ষাটের দশক জুড়ে ছাত্র আন্দোলন-সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহাম্মদ ফরহাদ গোপন কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে। বাষট্টির ঐতিহাসিক সামরিক শাসনবিরোধী এবং শিক্ষা আন্দোলন পরিচালনার ‘মস্তিষ্ক’ হিসাবে মোহাম্মদ ফরহাদের পরিচিতি ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবেই।
১৯৪৭ এর দেশভাগ, ভারতীয় কমিউনিস্টদের গৃহীত উগ্রপন্থা, সাম্প্রদায়িক বীভৎসতা প্রভৃতির জেরে পূর্ব বাংলা থেকে প্রায় বার হাজার পার্টি সদস্যের মর্মান্তিক দেশান্তরী ঘটে। এমনি পরিস্থিতিতে ও ঘনঘোর অন্ধকারে প্রগতির দীপশিখা জ্বালাতে গোপন কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রম চালিয়ে যেতে মণি সিংহ, খোকা রায়, নেপাল নাগ, অনীল মুখার্জি, জ্ঞান চক্রবর্তী প্রমুখ যেভাবে হাল ধরেন ইতিহাসে তার যথাযথ মূল্যায়ন ঘটেনি।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, ১৯৫৪ এর অভিজাত মুসলিমলীগবিরোধী গণরায়ের বিপ্লব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক সংগ্রামে পঞ্চাশের দশক জুড়ে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা ছিল অনবদ্য। ১৯৫০ সালে খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্টদের আত্মদান, দীর্ঘ সময় জুড়ে কারাভোগের এক ঝাঁক কমিউনিস্ট নেতার সাহসী ভূমিকা সব মিলিয়ে গোপন কমিউনিস্ট পার্টি অগ্রসর হতে থাকে। মুসলিম পরিবার থেকেও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নানাস্তরে যুক্ত হবার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এমনি পর্যায়ে পঞ্চাশের দশকের শেষে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় এসে কমিউনিস্ট আন্দোলনের কেন্দ্রভূমিতে অবস্থান নেন সাংগঠনিক প্রতিভাদীপ্ত মোহাম্মদ ফরহাদ।
দূরদর্শী মোহাম্মদ ফরহাদ মুসলিম প্রধান স্বদেশের উপযোগী কমিউনিস্ট পার্টিতে মুসলিম পরিবার থেকে আগত কমরেডদের নেতৃত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাবার এক পরিকল্পিত উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। গোটা ষাটের দশক জুড়ে ছাত্র আন্দোলন-সংগ্রাম-সংগঠন গড়ে তোলার যেন এক কনসার্টের তিনি ছিলেন সুর সমন্বয়ের সাধক। ১৯৬১ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে নিভৃত বৈঠকে মণি সিংহ, খোকা রায় এবং সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের যে সমঝোতা হয়, ফলতঃ ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্র লীগের মধ্যে যে আন্দোলনের ঐক্যসূত্র গড়ে ওঠে, এসবকিছুতে মোহাম্মদ ফরহাদের ভূমিকা ছিল দীপ্র এবং দৃপ্ত। সে সময় আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ ফরহাদের প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও প্রস্তাবিত পথ নকশার প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা পোষণ করতেন।
ঐতিহাসিক ৬-দফা পেশ করে প্রাথমিক ঝড় তুলেই বঙ্গবন্ধু কারাগারে শৃঙ্খলিত হয়ে ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসির সম্ভাব্য বিপদের মুখে পড়েন। কারাগারের বাইরে থমথমে অবস্থা। এমনি পটভূমিতে ৬-দফা সম্বলিত ঐতিহাসিক ১১-দফা প্রণয়ন করে ছাত্র সমাজের মধ্যে ব্যাপক ঐক্য গড়ে তোলার নিভৃত বিশেষ ভূমিকা পালনকারী হিসাবে মোহাম্মদ ফরহাদের ভূমিকাকে সাথীরা বরাবরই সম্মানের চোখে দেখে এসেছে। আর এই সাহসী নেতৃত্বের দৃঢ় ও সংহত ভূমিকায় সেনা দূর্গের লৌহকপাট ভেঙে যায়। ভেঙে গেলো কারাগার। বেরিয়ে এলেন শেখ মুজিব, রমনার বিশাল ময়দান তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসাবে ইতিহাস-সম্মানের অর্ঘ্যমালা পরিয়ে দিলো। ওদিকে কমরেড মণি সিংহসহ দীর্ঘকালের নিপীড়িত কারাভোগী নেতৃবৃন্দও মুক্তিপেলেন শাসকের জিঞ্জির থেকে। দৃশ্যমান ইতিহাসে আমরা সাধারণ নিভৃত অংশের প্রতি যথাযথ আলো দিইনা। সর্বকালে বোধ করি সর্বত্র এমনটাই ঘটে যায়।
তারপর? বাংলাদেশ প্লাবিত হলো বঙ্গবন্ধু-তরঙ্গে। এই মহানায়ক তখন পদ্মা-মেঘনা-যমুনাকে আমাদের মূল ঠিকানায় পরিণত করার জাতীয়তাবাদী কর্তব্যে একের পর এক কর্মধারায় উন্মাতাল করে দিলেন নিপীড়িত বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে। বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বকে ও আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস নির্বাচনী বিজয়কে অস্বীকার করে পাকিস্তানি শাসকেরা যখন গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলো, বাংলাদেশ জেগে উঠলো রূপকথার মার্চ-একাত্তর নিয়ে, মোহাম্মদ ফরহাদের বিশেষ উদ্যোগে তখন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন-এর সামরিক প্রস্তুতি সূচিত হয়ে গেলো। স্বাধীন বাংলা সরকারের সাথে সমঝোতা এবং সহযোগিতা রেখেও স্বতন্ত্র ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে কার্যতঃ বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পাণ করেন ৩৩ বছর বয়সী কমরেড ফরহাদ। একজন ব্যক্তি কিভাবে এতো দ্রুত সহকর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদাণের পাশাপাশি সামরিক সংগঠন এবং নেতৃত্বের রূপ পরিগ্রহ করতে পারেন, তা দেখে বিস্ময় অনুভব করেছি মুক্তিযুদ্ধের সামরিক প্রশিক্ষণের নানা পর্বে। বেতিয়ারা গ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পেরিয়ে স্বদেশে গেরিলা হিসাবে প্রবেশের সময় নয়জন সহযোদ্ধা হারাই। বিধ্বস্ত বেঁচে থাকা আমরা যখন ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পুনরায় একত্র হই, সেখানে মোহাম্মদ ফরহাদের সেদিনের বক্তব্য যুগিয়েছিল সহানুভূতির যথার্থ পরশ।
স্বাধীন দেশে কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশ্য করার ক্ষেত্রে মোহাম্মদ ফরহাদের উদ্যমী উদ্যোগ ছিল লক্ষণীয়। ১৯৭৩ এর তৃতীয় কংগ্রেসে সিপিবি স্বাধীন দেশে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পঁয়ত্রিশ বছরের মোহাম্মদ ফরহাদকে নির্বাচিত করে ফরহাদ-বৈশিষ্ট্যের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে। ক্ষিপ্র, গতিশীল, নিবেদিত, ধারাবাহিক যে নেতৃত্ব।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলেন কিসিঞ্জারের আগ্রাসী প্রতিশোধ পরিকল্পনায়। ১৯৭৯ সালে জিয়া সামরিক শাহী মোহাম্মদ ফরহাদকে দেশদ্রোহের দায়ে গ্রেফতার করে। ১৯৮০ সালের পার্টির তৃতীয় কংগ্রেসে মোহাম্মদ ফরহাদ পুনঃনির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক পদে। আশির দশকে বিশেষত ক্ষেতমজুর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি সারা দেশে তৃণমূলে সমীহ অবস্থান গ্রহণ করে। এরশাদ শাহীর বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণ আন্দোলনে মোহাম্মদ ফরহাদ কার্যত জননেত্রী শেখ হাসিনার পরেই দ্বিতীয় অবস্থান লাভ করেন নেতৃত্বের বৈগুণ্যেই। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের নবীন সদস্য হিসাবে প্রবীণের অভিজ্ঞতাকেও যেন ছাড়িয়ে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। এবছর চতুর্থ কংগ্রেসেও তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
সোভিয়েত পার্টির সর্বশেষ কংগ্রেস থেকে ফিরে এসে উদ্দীপ্ত মোহাম্মদ ফরহাদ জানালেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের উৎপাদিকা শক্তি আগামী পনের বছরে দ্বিগুণ হবে। অতএব, একবিংশ শতাব্দির সূচনায় বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে সংঘটিত করতে হবে বিপ্লব। প্রয়াণের চার বছরের মাথায়ই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ে। জানিনা বেঁচে থাকলে ভাবনার এমন পরিণতিতে কি ভাবতেন প্রিয় নেতা?
বাংলাদেশে আজও মোহাম্মদ ফরহাদ-নেতৃত্বের শূন্যতা কাটেনি। প্রয়াণের ত্রিশ বছরেও অপরূপ রাজনৈতিক নায়ক মোহাম্মদ ফরহাদ তাই সমাজ পরিবর্তনকামীদের কাছে বড় বেশি প্রাসঙ্গিক।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)