প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিকল্পিতভাবে কেউ যাতে মাছের ঘের তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, যথাযথ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাছ রপ্তানি করে উপার্জন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘সাগর নদী সকল জলে, মাছ চাষে সোনা ফলে’। এ উপলক্ষে মাছ চাষ এবং এ খাতে অবদান রাখায় ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ মাছ আহরণের পেশায় জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, আবাস উন্নয়ন, অভয়াশ্রম ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির কারণে মাছের উৎপাদন বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুন্দরবনের কিছু কিছু খাল অনেক গুরত্বপূর্ণ। সেখানে অনৈতিকভাবে মৎস্য চাষ করা হয় যা আমাদের নদীর জন্য ক্ষতি খালগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এবং এটা সুন্দর বনকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে। তাই এ বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর রাখা দরকার। ইতিমধ্য প্রায় একটা খাল বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। যে খালটি আমরা ড্রেজিং করে ঠিক করে দিয়েছি।‘নদীর যে পানির ধারাটা আছে সেটা যেন ব্যহত না হয়।’ মাছের প্রক্রিয়াজাত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে এ সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরোও বলেন, অাভ্যন্তরিন বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে তেমনি বিদেশে রপ্তানী সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। যে জিনিসটা দরকার শুধু বাজারজাত করলে হবেনা তার জন্য প্রক্রিয়াজাত করতে হবে। আর প্রক্রিয়াজাতকরণ আমার দেশের ভিতরেও দরকার আবার রপ্তানী করতেও দরকার। ইতিমধ্যে আমাদের রপ্তানী ৩১.২ বিলিয়ন ডলার।
পরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গণভবনে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।