মাদকাসক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে রাজধানীতে পথশিশুরা। নিরাপত্তা ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে একদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন বাড়ছে তেমনি ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে সমাজে। ২০৩০সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের সঙ্গে যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সরকারি ও বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৪ সালে দেশে পথশিশু ছিলো প্রায় ৬ লাখ আশি হাজার। ২০১৪ সালে তা বেড়ে সাড়ে ১১ লাখে পৌঁছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পথশিশুর সংখ্যা ১৬ লাখেরও বেশি দাঁড়াতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, পথশিশুদের ৮০ ভাগই রাজধানীর। যাদের ৯০ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী রয়েছে ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৪০ শতাংশ আর ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৬৫ ভাগ পথশিশু। ধূমপান ছাড়াও ড্যান্ডি, গাঁজা, ইয়াবাতেও আসক্ত হয়ে পড়ছে পথশিশুরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হিসেবে শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে আট’শ মামলা। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার সংখ্যাই বেশি, প্রায় সাড়ে তিনশ’। এর পরেই রয়েছে হত্যা মামলা ১৫২ টি। বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র আইনে মামলা ৫২টি। তদন্ত চলছে আরো ৭২টি শিশু মামলার।
পথশিশুদের ঠিকানা তৈরীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
গবেষক ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন গ্রামীণ দারিদ্র নিরসনে নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি থাকলেও নগর দারিদ্র নিয়ে তেমন কাজ হচ্ছে না। শহুরে দারিদ্র নিরসনে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: