রিয়াল মাদ্রিদে ইকার ক্যাসিয়াসের ক্যারিয়ার ধ্বংস করার পেছনে অনেকেই দোষটা দেন হোসে মরিনহোকে। ডিয়েগো লোপেজকে গোলবারের নিচে এনে ক্যাসিয়াসকে আস্তে আস্তে ডাগআউটে বসিয়ে শীতলযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন পর্তুগিজ কোচ।
সেই থেকে সাবেক কোচের সঙ্গে একটা স্নায়ুযুদ্ধ চললেও অবস্থাটা নাকি পাল্টেছে, জানালেন স্পেন ও রিয়ালের কিংবদন্তি গোলরক্ষক। মরিনহো আর তাকে নিয়ে অন্যরকম এক গল্পের কথা ইএসপিএনকে শুনিয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
প্রিয় ক্লাব ছেড়ে পোর্তোয় পাড়ি জমানোর পর ২০১৯ সালের মে মাসে অনুশীলনে হার্ট অ্যাটাকে হয় ক্যাসিয়াসের। সেটির তিন সপ্তাহ বাদে শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে স্ত্রী সারা কারবোনেরোর। সবমিলিয়ে পারিবারিক জীবনে বেশ কঠিন একটা সময় পার করছিলেন ক্যাসিয়াস।
সেসময় অনেককে পাশে পেয়েছেন ক্যাসিয়াস, তবে তাকে সবচেয়ে অবাক করেছে সাবেক কোচ হোসে মরিনহোর ফোন কল। পোর্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো মরিনহোই নাকি হার্ট অ্যাটাকের পর সবার আগে তার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন।
‘আমি এসময়ে অনেককেই কাছে পেয়েছি। যারা আমার মোটেও কাছের কেউ ছিল না।’
‘বিশেষ করে আমার সাবেক ম্যানেজার হোসে মরিনহোর কথা বলা যায়। তিনি সবার আগে আমার খোঁজ নিয়েছেন এবং আমার স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে খুব সচেতন ছিলেন।’
গত বছরের নভেম্বরে ক্যান্সারের চিকিৎসা সেরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ক্যাসিয়াসের স্ত্রী সারা, তার আগে সুস্থ হয়েছেন ক্যাসিয়াস নিজেও। সুস্থ হওয়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি ৩৯ বছর বয়সী স্প্যানিশ গোলরক্ষকের। চলতি বছরের আগস্টে ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দেন রিয়ালের হয়ে তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচ লা লিগা, দুই কোপা ডেল রে, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি।