শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকার মিশনে নামবে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে হারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ওয়ানডের সিরিজ হাতছাড়া হবে মাশরাফীর দলের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম। খেলার অপেক্ষায় ২০০তম ওয়ানডে।
মাসদুয়েক আগেই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডের ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ ক্লাবের খাতা খুলেছেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এবার অপেক্ষায় মুশফিক, তার নামের পাশে এখন ১৯৯ ওয়ানডে।
প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হেরে সিরিজে পিছিয়ে দল। মুশফিকও আলো ছড়াতে পারেননি নেপিয়ারে। দারুণ ফর্মে আছেন। দলের মিডলঅর্ডারের ভরসা তিনি। মাইলফলকের দিনে দারুণ কিছু করেই স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের সামনে।
মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেক ২০১৬ সালের আগস্টে, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এক যুগেরও বেশি সময়ে হয়ে উঠেছেন জাতীয় দলের ভরসা। দীর্ঘ সময়ে স্মরণীয় সব পারফরম্যান্সে সাজিয়েছেন ক্যারিয়ার।
ওয়ানডেতে ৫,৩৫১ রান মুশফিকের, গড় ৩৪.৭৪। আছে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি ফিফটি। সেরা ইনিংস ১৪৪ রানের, গত এশিয়া কাপে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নামের পাশে ১৬৪ ক্যাচ ও ৪২টি স্টাম্পিং আছে উইকেটরক্ষক হিসেবে।
ডাবল ক্লাবে বাংলাদেশের মাশরাফীই প্রথম। গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুইশ ওয়ানডের মাইলফলকে নাম লেখান টাইগার অধিনায়ক। দলের অন্য সিনিয়রদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ খেলে ফেলেছেন ১৬৯ ওয়ানডে। তার থেকে খানিকটা এগিয়ে তামিম ইকবাল ১৮৭ ওয়ানডে।
চোটে বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও আছেন ডাবল ক্লাবে নাম লেখানোর খুব কাছে, তার নামের পাশে ১৯৫ ওয়ানডে খেলার কীর্তি। আর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল আছেন ১৭৭ ওয়ানডে নিয়ে। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে স্বপ্ন দেখছেন আবারও একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর!