চট্টগ্রাম থেকে: শেষদিনে বড় কোনো নাটকীয়তা ছাড়া ম্যাচে ফলাফল হওয়া সম্ভব ছিল না। শুরুতে আক্রমণাত্মক শ্রীলঙ্কা কয়েকটি উইকেট হারানোর পর আর ঝুঁকি নেয়নি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফ্ল্যাট উইকেট কারো মন খারাপ হতে দেয়নি। সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুমেয়ভাবেই হয়েছে ড্র।
পঞ্চম দিনের খেলা ১৮ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচের ইতি টানেন আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ২৬০ রান।
শ্রীলঙ্কা: ৩৯৭ ও ২৬০/৬, বাংলাদেশ: ৩৯৭ (ফলাফল: ড্র)
প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম ৪ উইকেট তুলে আর সরাসরি থ্রোয়ে একটি রান আউট করে আশা দেখাচ্ছিলেন।
১৬১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দিনেশ চান্দিমাল (৩৯*) ও নিরোশান ডিকেভেল্লা (৬১*) শক্ত প্রতিরোধ গড়ে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যান ম্যাচকে। তাদের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিটি ৯৯ রানের।
ঘরের মাঠে সবশেষ চার টেস্ট হারের পর ম্যাচ ড্র করল বাংলাদেশ। দুই দলই পেয়েছে চারটি করে পয়েন্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তলানির দল বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়ে হল ১৬। পাঁচ নম্বর অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার ২৮।
শুরুতে নাঈম হাসান, সাকিব আল হাসানের বোলিং ছিল বড় প্রাপ্তি। পরে তামিম ইকবাল (১৩৩), মুশফিকুর রহিম (১০৫) সেঞ্চুরিতে ইনিংস রাঙিয়েছেন। ক্ল্যাসিক লিটন দাসও পেয়েছেন রান। খেলেছেন ৮৮ রানের ইনিংস। ব্যাটিং করেছেন সাবলীলভাবে।
৫ বছর পর বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি সেঞ্চুরির পথ পাড়ি দিয়েছে তামিমের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায়। এ ম্যাচেই টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের আক্রমণাত্মক বোলিংও সমান সমান লড়াইয়ে রেখেছে বড় ভূমিকা।
‘সাকিব টেস্ট খেলতে চান না’ এই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। এই কথায় সম্ভবত ফুলস্টপ পড়তে চলেছে এবার। করোনা থেকে তিন দিনের মাথায় সেরে উঠে মাত্র একটি সেশনে অনুশীলন করে নেমে যান মাঠে। দেখান স্পোর্টিং মনোভাব। দেন অনেক প্রশ্নের জবাব।
এসব প্রাপ্তি এসেছে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে। ২৩ মে ফেভারিট ভেন্যু মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে আরও প্রাপ্তির মালায় জয়ের আলোয় উদ্ভাসিত হলে সিরিজটা হবে বাংলাদেশের।