মিতা হক। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেয়েছেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ ও মিতা হক। রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের জন্য অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ এবং রবীন্দ্রসংগীত চর্চার জন্য মিতা হককে এবার এ পুরস্কার দেওয়া হয়। আজ সোমবার ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা ২০১৭’ আয়োজনে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মিতা হক। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কথা হলো মিতা হকের সঙ্গে।
আপনি বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেয়েছেন। ‘রবীন্দ্রমেলা’য় আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগছে। অনেক অনেক সুন্দর অনুভূতি হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা করা যাবে না।
বাংলা একাডেমি থেকে কখন ফিরেছেন?
একটু আগে। ওখানে তো বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। শুরুতে অধ্যাপক ফখরুল আলম প্রবন্ধ পড়েছেন। এরপর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ফাহমিদা খাতুন ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান আলোচনা করেছেন। মঞ্চে আমি আর হায়াৎ মামুদ দুজনই ছিলাম।
কে কে গিয়েছিলেন?
আমি, আমার মেয়ে জয়িতা, ওর বর মোস্তাফিজ শাহীন, আমার ছোট ভাই রাজন, ছোট খালা সিতারা রুবি আর বন্ধু লাতিফা জামান।
অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। আপনি পাবেন, এমনটা কখনো ভেবেছেন?
পুরস্কার বা এ ধরনের সম্মান নিয়ে কখনোই ভাবিনি। কখনো মনেও হয়নি। তবে পুরস্কারের ব্যাপারে আমার খুব আগ্রহ ছিল অল্প বয়সে। আর বড় বয়সে এসে পুরস্কার নিয়ে যা বিতর্কের কথা শুনছি, তাতে এসব কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পাচ্ছেন, কবে জানতে পারলেন?
ছয় দিন আগে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান নিজেই ফোন করে জানিয়েছেন। পরদিন চিঠি পেলাম।
একই সঙ্গে দুটি বড় সম্মান পেয়েছেন। কেমন লাগছে?
আমি তো খুবই খুশি হয়েছি। অনেক দিন হলো, গানটা ঠিক মতো করা হচ্ছে না। এই দুটি সম্মান পাওয়ার পর মনে হলো, আলসেমি করলে আর চলবে না। আবার গানে মন দিতে হবে। আবার ব্যস্ত হতে হবে।
কী নিয়ে ব্যস্ত হবেন?
যে কাজটা করি, রবীন্দ্রসংগীত শেখানো আর সাংগঠনিক কাজ; সেটাই করব।
অনেক দিন অ্যালবামে আপনার নতুন কোনো গান আসেনি।
এতো বেশি অলস হয়ে গেছি, আমার মনে হয়, এখন আর ওসব হবে না। পরে দেখব। তবে আমি জয়িতার গানের দিকে বেশি নজর দিচ্ছি। এখনই ওকে ঠিকঠাক করে গানটা গাইতে হবে।
আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ।
ছবি : সংগৃহীত