কক্সবাজার থেকে: আট দেশের অংশগ্রহণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের পঞ্চম আসর বসবে বাংলাদেশে। যার ৮টি ম্যাচ হবে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না সমুদ্রপাড়ের ভেন্যুটি।
২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে যুবাদের এশিয়া কাপ। চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে আট দল। অংশগ্রহণকারী দলগুলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
একটি গ্রুপের সবগুলো খেলা হবে কক্সবাজারে। নিশ্চিত করেছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন। মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের খেলা দেখতে ভেন্যুতে এসে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘একটি গ্রুপের খেলা হবে এখানে। অপর গ্রুপের খেলা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল চট্টগ্রামেই হবে।’
পর্যটনগরীতে কেন ফাইনাল হচ্ছে না, জানতে চাইলে ভেন্যুটির সীমাবদ্ধতার কথা সামনে আনেন বাতেন, ‘ফাইনাল ও সেমিফাইনাল স্টার স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে। এখানে ক্যামেরা বসানোর জন্য স্টেজ নেই। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, এখানে ফ্ল্যাডলাইট নেই। গ্যালারিও নেই। তরুণ ক্রিকেটারদের খেলা দেখার জন্য দর্শক টানারও একটা ব্যাপার থাকে। এখানে গ্যালারি নেই।’
নিকট অতীতে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ, ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মেয়েদের সিরিজ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের খেলা হচ্ছে নিয়মিত। তারপরও ভেন্যুটির বেহাল দশা। স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্টবক্সে প্রবেশ করলে দেখা যায় ছাদ (সিলিং) ঝুলে আছে।
ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমের ছাদেরও একই অবস্থা। স্টেডিয়ামের লোহার তৈরি অবকাঠামোগুলোতে পড়েছে ভীষণ রকমের মরিচা। এমনকি ফলস সিলিং, বিভিন্ন কক্ষের টাইলস ও টিনের ছাদও ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে।
স্টেডিয়ামটির এমন অবস্থা ২ বছর ধরেই। যুব এশিয়া কাপ সামনে থাকায় এসব কাজের সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। আব্দুল বাতেন জানালেন, স্টেডিয়ামে কী কী কাজ করাতে হবে তার পরিকল্পনা আমরা করেছি। যে কাজ করাতে হবে তা ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি নয়।