সাংবাদিক আতাউস সামাদের মৃত্যুদিনে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন এনটিভির বার্তা সম্পাদক মুজতবা খন্দকার। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে যখন লেখেন সেই অাশি, নব্বইয়ের দশকে। তখন থেকেই তিনি নিজে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্ত তার সে স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায় ২০০৩ সালে। পত্রিকাটাকে বস্তুনিষ্ঠ, অার পাঠকের দাবি মেটাতে তার সে কি অান্তরিকতা! সম্পাদক, প্রকাশক শুধু নন, প্রুফ দেখে নির্ভুল একটি সম্পূর্ণ পত্রিকা বের না হওয়া পর্যন্ত যেন তার ফুরসত নেই। সাপ্তাহিক তখন ছিলো তার সব কিছু। শ্রদ্ধাভাজন অগ্রজ কুদরতে মাওলা ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক। বিশেষ সংবাদ দাতা অামার পদবী হলেও লিখতাম সব। স্যারের স্নেহ ভালোবাসা ধমক সবই পেতাম। সে একদিন ছিলো! বলছিলাম বরেণ্য সাংবাদিক অাতাউস সামাদের কথা।
এরপরে আরো নানান কথা টেনে মুজতবা খন্দকার লিখেছেন, কাজের পাশাপাশি করতেন নানা স্মৃতিচারণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমকালীন চিত্রকলা। হেন কোনো বিষয় নেই যে তিনি অালোচনা করতেন না। বিবিসির স্মৃতিচারণ, গ্রেফতার কাহিনী। অবজারভারের কাহিনী, প্রয়াত মুসার ভাইয়ের ধমক সাংবাদিক ইউনিয়নের স্মৃতিচারণ এমনভাবে করতেন, সব যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দিতো। তিনি ছিলেন অামৃত্যু রিপোর্টার গর্ব ভরে বলতেনও, অামি অার মাওলা ভাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যেতাম, এই সময় অাবারো একজন মহান সাংবাদিককে নতুন ভাবে অাবিষ্কার করলাম, তার পত্নী মিসেস সামাদ। অামি খালাম্মা সম্বোধন করতাম তারও স্নেহ পেয়েছি, শান্তা স্যারের ছোট মেয়ে। তাকেও পেয়েছি বোনের মতো… এই সময় গুলোতে.. অামার সাংবাদিকতা জীবনের অনেক কিছুই সমৃদ্ধ হয়েছে স্যারের স্নেহশীল সাহচর্যে…
এরপরে মুজতবা খন্দকার লিখেছেন, নয়াপল্টনের তার দোতলা বাড়িটার নিচতলা তখন অামাদের অনেকেরই হয়ে উঠেছিলো বাতিঘরের মতো। অগ্রজ অাহসান কবির, বর্তমানে বৈশাখীর হেড অব প্রোগ্রাম অনুজ পলাশ মাহবুব। তখন উদীয়মান ছড়াকার রম্য লেখকসহ অারো অনেকেই যাদের নাম স্মরণে অাসছেনা.. সবাই মিলে সে কি অাড্ডা, বিতর্ক। সবই চলতো স্যারের অলিখিত অাদেশে….সবারই মধ্যমনি থাকতেন স্যার। অথবা শওকত মাহমুদ ভাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, এরপর এনটিভিতে তাকে পাই ২০০৭ সালে পুড়ে যাওয়ার পর, এরপর অারো কাছাকাছি। অারো ভালোবাসার সম্পর্কে তিনি অামাকে কাছে টেনে নেন। তার হাত ধরেই এনটিভি পুর্নজন্ম পায়। ২০১২ সালের অাজকের দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
অাপদমস্তক সৎ, নিরহংকারী এই গুনি সাংবাদিক অামাদের প্রেরণা…….চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে বরেণ্য এই সাংবাদিকের বিদেহী অাত্মার শান্তি কামনা করছি।