বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) করাচি কিংসের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে নিয়েছিলেন ম্যাচসেরা পুরস্কার। আর দ্বিতীয় ম্যাচটিতে তিনি যেমন থাকলেন বিবর্ণ, তেমনি দলও বরণ করে নিলো বড় পরাজয়। ১৬ বল হাতে রেখেই কোয়েটা গ্লেডিয়েটর্সের ৮ উইকেটের বিশাল জয়ের ম্যাচটিতে ব্যক্তিগত শেষ ওভারের শেষ বলে সান্তনার উইকেটের দেখা পান এই বাঁহাতি স্পিনার।
করাচি কিংসের ছুড়ে দেয়া ১৪৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭.২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে জয় পায় কোয়েটা গ্লেডিয়েটর্স।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তিনটি ত্রিশ পেরোনো ইনিংসে করাচি ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে। ব্যাট হাতে অনুজ্জল সাকিব করেন ১৭ রান। কোয়েটা গ্লেডিয়েটর্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে রবি বোপারা এবং অধিনায়ক শোয়েব মালিকের ব্যাটিংটাই ছিলো টি-২০ আমেজের। ২৫ বলে ৩৭ রান করে শোয়েব এবং ২৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন বোপারা। জেমস ভিন্সের ৩৩ বলে ৩০ রানের ইনিংসটিও দলের পুঁজিতে অবদান রাখে।
আফগানিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও পাকিস্তানি বোলার আনোয়ার আলী দুইটি করে উইকেট এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ একটি উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে করাচির বোলারদের উপর চড়াও হন কোয়েটার লিউক রাইট ও আহমেদ শেহজাদ। এ দু্জনের ১১ ওভারে খেলা ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটিই দলের বড় জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়। পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ে সাজানো ৪৬ বলে ৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন শেহজাদ। আর রাইট খেলেন ৩৯ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। এই দুজনের বিদায়ে ২৯ রান করে কেভিন পিটারসন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে দলের প্রথম ম্যাচটিতে ৫১ রানের পাশাপাশি হিসেবী বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।