আওয়ামী লীগ সরকারকে অনির্বাচিত দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাজেট ঘোষণার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই।
আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র অনির্বাচিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। যারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। এই সরকারের বাজেট দেওয়া নৈতিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, দায়বদ্ধও নয়।
‘‘দেশের অর্থনীতি কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। তারাই অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার তারাই সরকার পরিচালনা করছে।’’
তিনি বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঋণ নির্ভর বাজেট দিতে হচ্ছে। বাজেটে নাগরিকরা কী সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে? আগামী দিনের বেকারত্বের কী হবে? মানবসম্পদ উন্নয়নের কী হবে? স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতের কী হবে? এগুলো তো সবকিছু সাফার করবে। ঋণ-নির্ভর অর্থনীতি হবার কারণে বাজেটের একটি বিশাল অঙ্গ সুদ আকারে পে করতে হবে। যে টাকাটা শিক্ষা খাত থেকে নিয়ে যাচ্ছে, যে টাকাটা স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, চাকরি-বাকরি ব্যবস্থা থেকে বেকারত্ব দূর করা থেকে চলে যাচ্ছে, যে টাকাটা দেশের মানুষের দারিদ্র মোচনের থেকে চলে যাচ্ছে। যতো সুদ বাড়বে ততো নাগরিকের সুযোগ-সুবিধার উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
‘‘এখন যে ১ মিলিয়নের বাজেট ৩ মিলিয়ন দেয়া হচ্ছে, এই টাকা আমার আপনার পকেট থেকেই নেয়া হবে। করের মাধ্যমে, ভ্যাটের মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যমে এই টাকা সরকার মানুষের পকেট কেটে নেবে।’’
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।