অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লির শাহিনবাগে রাস্তা অবরোধ করে রাখা যাবে না বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভকারীরা দিনের পর দিন এভাবে রাজপথ অবরোধ করে জনগণের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারেন না।
সোমবার এ বিষয়ে বিচারপতি এস কে কউল এবং কে এম জোসেফের সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘একটি আইন হয়েছে যেটির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ প্রতিবাদ করছে। তাদের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাতে অন্যের অসুবিধা যেন না হয়।’
‘‘আপনারা জনপথ বন্ধ করে রাখতে পারেন না। এমন একটি এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো বিক্ষোভ চলতে পারে না। আপনারা যদি বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাতে চান, সেটি বিক্ষোভের জন্য নির্ধারিত একটি স্থানে হতে হবে।’’
এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকার, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নোটিস দিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আদালত। আদালত বেঞ্চ বলেছেন, অন্য পক্ষের বক্তব্য শোনার আগে বিক্ষোভকারীদের অপসারণের বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেয়া হবে না।
শাহিনবাগ থেকে বিক্ষোভকারীদের অপসারণ বিষয়ে করা এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ চলছে। বরাবরই এ বিক্ষোভের তীব্র সমালোচনা করে আসছে বিজেপি।
এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এ পর্যবেক্ষণে ঘটনা নতুন মোড় নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, শাহিনবাগে অবস্থান কর্মসূচির কারণে এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে বলে এর আগে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অমিত সাহিনি ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এ কথা বললেন সুপ্রিম কোর্ট।
একই আবেদন জানিয়ে আগে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলায় কোনো রায় দেননি দিল্লি হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আদালত জনস্বার্থের দিকটি যেমন পুলিশকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেন, তেমনি আইনশৃঙ্খলার দিকেও নজর দিতে বলেন।