ন্যুনতম মুজরিসহ ১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন।
বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক নেতারা। গত এক বছর ধরে কয়েক দফা ধর্মঘটের কর্মসূচি দিয়েও সরকারের আশ্বাসে তা
প্রত্যাহার করেছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
মাত্র ৪ হাজার টাকা মজুরিকে অমানবিক বলে উল্লেখ করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক নেতারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, ২০ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে জাতিকে অত্যন্ত ধর্মঘট বিরোধীর মতো এমন কাজ না করার জন্য মালিকরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের এই আহ্বানে সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি।
মালিকদের অনড় অবস্থানের কারণে বার বার বৈঠক করেও সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন শ্রমিক নেতা শাহ আলম।
তিনি বলেন, ৫ শতাংশ মানে সর্বনিন্ম একজন শ্রমিকের ১০৮ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাকে আমরা প্রস্তাব বলে মনে করি না। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে শ্রমিকদের তিরস্কারের করা হয়েছে।
অন্যদিকে ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন গন্তব্যের লঞ্চগুলো বুধবার মধ্যরাতের আগেই রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যায়। টার্মিনালে এসে লঞ্চ না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেক যাত্রী।
দ্রুত সমস্যার সমাধান করে নৌ পথে যান চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ও যাত্রীরা।