রাজধানীর একটি সোনার দোকানে অভিযানের পরপরই এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সমিতি বলছে দেশজুড়ে প্রতিটি জুয়েলারি শোরুম বা দোকানে এই ধর্মঘট কার্যকর হবে।
স্বর্ণের দোকানগুলোতে আর অভিযান চালানো হবে না, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে এমনটি বলা হলেও আজ আমিন জুয়েলার্সে অভিযান হয়। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এভাবেই অন্য দোকান গুলোতেও অভিযান হতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে বলেও জানায় তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর গত কয়েকদিনে দু’দফায় অভিযান চালিয়ে বনানী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীর পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্স এর পাঁচটি বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দারা সেসময় বলেছেন আপন জুয়েলার্সের কর্ণধাররা জব্দকৃত সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণ এবং ৪২৭ গ্রাম হীরার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি।
তবে এতে করে অন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।
এর আগে, সোমবার আপন জুয়েলার্সের বিক্রয়কেন্দ্রে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস বলে, কোনো নোটিস ছাড়াই আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুম শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সভাও হয়।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে, আপন জুয়েলার্সের সাথে জড়িত নির্দোষ কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্বর্ণ শিল্পী ও ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় শো-রুমগুলো দ্রুত খুলে দেয়া ও এ ধরণের হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে ধর্ষকরা। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ।