করোনাভাইরাসের বিস্তার এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে দেশের ক্রিকেট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মাঠের খেলা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দ্বিতীয় রাউন্ড স্থগিত করা হয়েছিল তাৎক্ষণিকভাবে। এবার ক্লাব, আয়োজক কমিটির সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর হয়েছে বাকি সিদ্ধান্ত।
‘আপনারা জানেন যে পুরো পৃথিবীতেই যা হচ্ছে, সব জায়গাতেই খেলা বন্ধ। আমাদেরও ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেছে। আমরাও প্রথম রাউন্ডের পর ডিপিএল বন্ধ করেছিলাম। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে দুদিন অপেক্ষা করি, অবস্থা বুঝি। এখন আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘কিছু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। প্রথমে মনে হয়েছে খেলোয়াড়রাও খেলতে চাচ্ছে, ক্লাবও কিছু কিছু চাচ্ছে। কিন্তু এখন ভিন্নমতও আসছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রিকেটের সকল খেলা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমরা স্থগিত করছি। পরিস্থিতির যদি উন্নয়ন হয়, তাহলে আমরা খেলা চালু করব।’
বাংলাদেশ সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব ধরনের খেলা বন্ধ রাখতে। সেসময়ের পরও যে খেলা শুরু করা যাবে এমনটা মনে করছেন না নাজমুল হাসান। প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অবস্থা যা তাতে ১৫ এপ্রিলের আগে লিগ শুরুর সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
‘নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না। কারণ প্রতিদিন পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। আমরা যদি জানতে পারতাম ৩১ মার্চের পর উন্নতি হবে, তাহলে ৩১ মার্চ বলতাম। তখন সব ঠিক হবে না আরও খারাপ হবে সেটা তো আমরা বলতে পারছি না।’
‘আমার মনে হয় না ১৫ এপ্রিলের আগে ডিপিএল শুরুর সম্ভাবনা আছে। বরং এটা বাড়তেও পারে। শুধু খেলোয়াড়দের না, প্রত্যেক মানুষের সতর্ক হওয়া উচিত এই করোনাভাইরাস নিয়ে। কাজেই এখন ক্রিকেট খেলার পরিস্থিতি না। যদিও অন্য খেলার চেয়ে কন্টাকলেস খেলা ক্রিকেট। যতবেশি দূরে থাকা দরকার, তার চেয়ে দূরে থাকে ফিল্ডাররা। তবু আমরা মনে করি এটা খেলার সময় না।’