অনাস্থা ভোটে টিকে গেলো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সরকার। ১৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর এখন ব্রেক্সিটের নতুন পথ খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করতে পার্লামেন্টের সব সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন মে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের একদিন পরই নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ব্রেক্সিট চুক্তিটি ২৩০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর সরকারের ওপর আনা হয় অনাস্থা প্রস্তাব।
আর তাতেই ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত। বিশ্বব্যাপী শুরু হয় তুমুল আলোচনা – মে সরকারের ভাগ্যে কী হয়।
বুধবার অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটে সরকারের প্রতি সমর্থন জানান ৩২৫ পার্লামেন্ট সদস্য আর অনাস্থা জানান ৩০৬ জন।
ইতোমধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তির নতুন খসড়া প্রস্তাব তৈরিতে পার্লামেন্টের সব দলের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছেন মে। ভোটের পর টেরেসা মে জানিয়েছেন, এ জয় তাদেরকে ব্রেক্সিট নিয়ে ভাবার জন্য আবারো সুযোগ দিয়েছে।
এ উদ্দেশ্যে বুধবার স্থানীয় সময় রাতে বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে অংশ নেন এসএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং প্লেইড কিমরুর নেতারা।
তবে সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, যে কোনো ‘ইতিবাচক আলোচনা’র আগে প্রধানমন্ত্রীর উচিত চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরের সব ধরনের পরিকল্পনা বাতিল করা।
করবিনের অনুপস্থিতির ব্যাপারে বৈঠক শেষে মে বলেন, ‘লেবার পার্টির প্রধানের বৈঠকে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে আমি হতাশ হয়েছি। তবে আলোচনার দরজা এখনো খোলা রয়েছে।’
জয়ের পরও স্বস্তিতে নেই ব্রিটিশ সরকার। ব্রেক্সিট ইস্যুতে যত দ্রুত সম্ভব পার্লামেন্টের অনুমোদন আদায় করতে হবে। সোমবারই পার্লামেন্টে আরো একটি প্রস্তাব উত্থাপন করার কথা রয়েছে টেরেসা মে’র।
এতেও যদি এমপিদের মন না গলে তবে কয়েকটি বিকল্প থাকবে। সিদ্ধান্ত হতে পারে নো ডিল ব্রেক্সিটের কিংবা আরো একটি গণভোটের। তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে আর সময় দিতে চাইছে না ইউরোপীয় দেশগুলো।