অনার কিলিংয়ের জন্য এতদিন থেকে চলে আসা খুনির মুক্তির পথ এবার বন্ধ করে দিলো পাকিস্তান। নতুন আইন অনুযায়ী অপরাধীকে আজীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এর আগে আক্রান্তের পরিবার চাইলে খুনিকে কারাভোগের সাজা থেকে রক্ষা করতে পারতো। এখন ক্ষমা কেবল এসব অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা করতে পারবে।
পাকিস্তানের যেসব নারী প্রেম ও বিয়ের ক্ষেত্রে দেশটির রক্ষণশীল নিয়ম নীতি ভাঙে তাদের উপর পরিবারের আক্রমণাত্বক আচরণ থেকে সরিয়ে আনার জন্য প্রথম পদক্ষেপ এটি।
পাকিস্তানের নিজস্ব মানবাধিকার কমিশনের জরিপ অনুযায়ী গত বছরে অন্তত ১১০০ নারী আত্মীয়-স্বজনের দ্বারা এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাছাড়াও আরো অনেক এমন ঘটনা রয়েছে সেগুলো সামনেই আসেনি।
এর আগে থাকা অনার কিলিংয়ের পর পরিবারের কোনো একটি সদস্য খুনিকে ক্ষমা করে দিলে সে শাস্তি এড়াতে পারতো।
সম্প্রতি এই ধরনের অনার কিলিংয়ের ঘটনা পাকিস্তানে এবং পাকিস্তানের বাইরে যথেষ্ট আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বাবা এবং সাবেক স্বামীর হাতে ব্রিটিশ নারী সামিয়া শাহিদের মৃত্যু এবং সেই একই মাসে ভাইয়ের হাতে পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তারকা কান্দিল বালোচের মৃত্যু আরো বেশি আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বৃহষ্পতিবার এই সংশোধিত আইনটি নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় সংসেদে চার ঘণ্টা বিতর্ক চলে। অত:পর সর্বসম্মতিক্রমে আইনটি পাস হয়।
অনেক বছর যাবতই নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারকরা কঠিন আইনের দাবি জানাচ্ছে। এতদিনে সেটার ফলাফল পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
সম্মান রক্ষার্থে হত্যা বা অনার-কিলিং হলো কাউকে নিজের পরিবার বা গোত্রের সম্মানহানির দায়ে ঐ পরিবার বা গোত্রের অপর ব্যক্তি কর্তৃক হত্যা করা, যার মাধ্যমে এই সম্মানহানির উপযুক্ত প্রতিকার হয়েছে বলে মনে করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়অনার কিলিং প্রচলিত।