দুর্বৃত্তের আগুনে ঝলসে যাওয়া ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির অবস্থার গুরুতর অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, শনিবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যায়। তখন তাকে ফুসলে অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাদে তুলে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেন।
অবস্থা আরও গুরুতর হওয়ায় রাফিকে রোববার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড কাজ করছে।
১৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করেছিল পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। আরেকটি অংশ তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।