রোহিত শর্মা পারেননি। কাছ থেকে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সুযোগ ছিল জো রুট, কেন উইলিয়ামসনদের সামনে। পারলেন না তারাও। শচীন টেন্ডুলকারের গড়া এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড তাই অক্ষতই থাকল।
২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৬টি হাফসেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরিতে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। ওটাই বিশ্বরেকর্ড। ২০০৭ বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়ে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি ম্যাথু হেইডেন। সেবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার করেছিলেন ৬৫৯ রান।
চলতি বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে বিরল রেকর্ড গড়া রোহিতের সামনে সুযোগ ছিল শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন হিটম্যান। ৬৪৮ রানে বিশ্বকাপ শেষ হয় রোহিতের।
ওয়ার্নারের সামনেও সুযোগ ছিল। তবে সেমিফাইনালে ব্যর্থ হওয়ায় এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪৭ রান করে থামতে হয় অজি ওপেনারকে।
লিগপর্ব থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়ে না গেলে সাকিবের সামনে হাতছানি থাকতো শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে বাংলাদেশ ছিটকে পড়ায় ৬০৬ রানেই আটকে থাকতে হয়েছে সাকিবকে।
শচীনকে ছাড়িয়ে যেতে ফাইনালে রুটের দরকার ছিল ১২৫ রান, আর উইলিয়ামসনের ১২৬ রান। বেয়ারস্টোকে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। তবে তিনি শুরুতেই থেমে যান। রুট ৭, উইলিয়ামসন ৩০ এবং বেয়ারস্টো ৩৬ রান করে আউট হওয়ায় আরও অন্তত চার বছর শচীনের বিশ্বরেকর্ডের অক্ষত থাকা নিশ্চিত হল।