বাংলাদেশে গ্লোবাল লিডার তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ন্যাশনাল ইংলিশ অলিম্পিয়াড। প্রথম ঢাকা বিভাগে, পরে ক্রমান্বয়ে দেশের প্রত্যেকটি বিভাগে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।
’Inspiring Leadership’ নামক স্লোগান নিয়ে যাত্রা করা এই আয়োজনের যৌথ উদ্যোক্তা হলো দাতব্য সংস্থা WOC এবং English Olympiad।
‘ইংলিশ অলিম্পিয়াড’ আয়োজন নিয়ে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজকরা। এতে তারা আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আয়োজকদের বর্ণনা মতে, ’ইংলিশ অলিম্পিয়াড’ মূলত একটি ইংরেজির দক্ষতা যাচাই ভিত্তিক পরীক্ষা যেখানে প্রশ্নপত্র নির্ধারিত করা থাকবে গ্রুপগুলোর উপর নির্ভর করে। প্রশ্নগুলো প্রতি গ্রুপে আলাদা হবে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য ৬টি গ্রপ রয়েছে যেমন-
১. Kids (২য় শ্রেণি পযন্ত)
2. Small Starts (৩য়-৫ম শ্রেণি)
3. Juniors (৬ষ্ঠ-৮ম)
4. High Flyers (৯ম-১০ শ্রেণী)
5. Trailblazers (১১শ-১২ শ শ্রেণী)
6. Seniors (উচ্চমাধ্যমিক পযায়ের পর যেকোনো শিক্ষার্থী)
এই প্রতিযোগিতায় তিনটি পর্ব রয়েছে- বাছাই পর্ব, থিয়েটার পর্ব এবং গ্র্যান্ড ফিনাল।
বাছাই পর্বে প্রতি জেলা থেকে প্রথম ১০ জনকে থিয়েটার পর্বের জন্য বাছাই করা হয়, যাদের থিয়েটার পর্বে ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং ফাইনাল পর্বে তাদের ইংরেজির দক্ষতার উপর একটি পরিপূর্ণ পরীক্ষা দিতে হবে।
এবারের আয়োজনে গ্র্যান্ড ফিনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার ঢাকায়।
এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা WOC চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, ইংলিশ অালিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য কেবল বছরে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা বাংলাদেশে বৃহত্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। তাই আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে গ্লোবাল লিডার তৈরি করা। যারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পযায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা ইতোমধ্যেই এমন অনেককেই খুঁজে পেয়েছি যাদের নেতৃত্বদানের ইচ্ছা এবং যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা সামনে আসতে পারছে না। আমরা এদের খুঁজে বের করে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশের সবগুলো জেলাতে ইংলিশ অলিম্পিয়াডকে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি এবং সেখানে আগ্রহী যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেতৃত্বের মনোভাব জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।
আমান উল্লাহ আরও বলেন, ইংলিশ অলিম্পিয়াডের বর্তমান পরিকল্পনা হলো ২০১৯ সালের মধ্যে ২৫টি দেশে (যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়) অলিম্পিয়াড আয়োজন করা এবং ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে এই প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেয়া এবং বাংলাদেশ থেকে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইংলিশ অলিম্পিয়াড আয়োজন করা।
প্রথম ন্যাশনাল ইংলিশ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালে। ১০ মাস ধরে এই আয়োজন চলে। প্রথম আয়োজনে ৮টি বিভাগে প্রায় ১০০০ ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত ছিলো এবং ৩৫ হাজার প্রতিযোগি ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির সহযোগি অধ্যাপক এবং স্কুল অব বিজনেস এর প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।