ঋণ বিতরণে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ক্ষমতা বাড়ল। এখন থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করতে পারবেন ব্যাংকের এমডিরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের কাছে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি কিন্তু ১০ কোটি টাকার নিচে স্থিতির ঋণের (ঋণগ্রহীতা ভিত্তিক) বিপরীতে আরোপিত মুনাফা আয় খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শাখা প্রধানের সুপারিশসহ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
তবে ১০ কোটি টাকা ও তার চেয়ে বেশি স্থিতির ঋণ বা বিনিয়োগের (ঋণগ্রহীতা ভিত্তিক) বিপরীতে আরোপিত মুনাফা আয় খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনা (যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক), অডিট কমিটির সুপারিশসহ পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
৫ কোটি টাকার নিচে স্থিতির ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয় খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শাখা প্রধানের সুপারিশসহ তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
উল্লিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিয়ে কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করা না হলে তা ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে।
ঋণের বিপরীতে স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ঋণের শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিংয়ের বিধান অনুযায়ী আবশ্যিক প্রভিশন হিসাবায়নপূর্বক যথারীতি প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণের বিপরীতে জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিংয়ের বিধান অনুযায়ী আবশ্যিক প্রভিশন হিসাবায়নপূর্বক যথারীতি প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।