নরসিংদীতে হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে পালানোর সময় পানিতে পড়ে সুজন দাস নামে এক আসামীর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন দাস হাজিপুর এলাকার অজিত দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুজন দাসের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ ১০ টির অধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ৩ টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল।
মঙ্গলবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শহরতলীর হাজিপুর এলাকার একটি চানাচুর কারখানায় অভিযান চালায় সদর মডেল থানা পুলিশ।

সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এক হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে সে পকেট থেকে ছুরি বের করে দায়িত্বরত পুলিশকে আঘাত করে। এসময় আসামি সুজন পালাতে গিয়ে পাশের হাড়িধোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং নদী পার হওয়ার সময় মাঝ নদীতে আটকে যায়।
পরে পুলিশ নদী থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ পুলিশ ও চানাচুর ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে নদীতে ফেলে হত্যা করেছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, গ্রেপ্তারের সময় আসামী সুজন দাসের ছুরিকাঘাতে একজন উপপরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পালানোর সময় নদীর মাঝখানে কোনকিছুতে আটকা পড়ায় পার হতে না পেরে নদীতেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
