শুরুতে দুই সেশনে দুটি করে চার উইকেট। সেই স্বস্তি মিলিয়ে যেতে শুরু করে ব্রেন্ডন টেলর ও পিটার মুরের প্রতিরোধে। তৃতীয় সেশনে উইকেটের দেখা নেই দীর্ঘক্ষণ! মিরপুরের হতাশা ছড়ায় গ্যালারি থেকে প্রেসবক্স পর্যন্ত। সেটি অবশ্য দীর্ঘ হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জিম্বাবুয়ের মিডল আর লেজ গুটিয়ে দিয়ে স্বস্তিতেই দিনশেষ করেছে স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫২২/৭(ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে: ৩০৪/৯ (চোট থাকায় ব্যাটিংয়ে নামেননি চাতারা) (তৃতীয় দিন শেষে)
পড়ন্ত বিকেলে দ্রুত চার উইকেট তুলে এনে বোলাররা দিয়েছেন স্বস্তিটা। প্রত্যাশিত ফলো-অনে ফেলা গেছে জিম্বাবুয়েকে। ফলো-অন থেকে ১৮ রান দূরে তারা। যদিও জিম্বাবুয়েকে ফলো-অন করাবে কিনা বাংলাদেশ, সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে চতুর্থদিন সকালে।
এমন দারুণ এক বিকেলে অবশ্য আক্ষেপ হয়ে থেকেছে ক্যাচ মিসে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়া। তাতে দলের মূল পেসার মোস্তাফিজ ও অভিষিক্ত খালেদের উইকেটহীন থাকা।
টেলর-মুরের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ১৩৯ রানের জুটি ভাঙার পর ঝটপট আরও তিন উইকেট তুলে স্বস্তি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন তাইজুল-মিরাজরা। ৫ উইকেটে ২৭০ থেকে জিম্বাবুয়ে থেমে যায় ৩০৪ রানে।
দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিং মনমত হচ্ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম দুই সেশনে দুটি করে উইকেট নেয়া গেলেও তৃতীয় সেশনে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে উইকেটের অপেক্ষায়। মিরপুরে আসা স্বাগতিক দর্শকদের দেখতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের ঘুমপাড়ানি ব্যাটিং!
টেলর-মুরের প্রতিরোধই জিম্বাবুয়ে তিনশ পাড়ি দেয়া ইনিংসের ভিত। মুর যখন উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের তখন ১৩১ রানে নেই ৫ উইকেট। ৮৩ করে যখন আরিফুল হকের বলে এলবিডব্লিউ হন, সফরকারীদের রান ২৭০। এ ডানহাতি ১১৪ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা।
টেলর অবশ্য ভুল করেননি। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট শতক। ১১০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন সাজঘরে। ১৯৪ বলে ১০ চারে সাজান ইনিংসটি।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের উইকেট পড়েছে লম্বা বিরতি দিয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ইনিংসের ১৫তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (১৪)। তৃতীয় দিন সকালে ইনিংসের ২৯তম ওভারে আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ডোনাল্ড ত্রিপানোর (৮) উইকেট হারায় সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেট পড়ে ৪২তম ওভারে গিয়ে।
দলের রান যখন তিন অঙ্কের কাছে, তখন উইকেটে জমে যাওয়া ব্রায়ান চারিকে সাজঘরে পাঠান মিরাজ। ১২৮ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
চা-বিরতির আগেই চার উইকেট নেয়া তাইজুলের অপেক্ষা দীর্ঘ হয় পঞ্চম শিকারের জন্য। চাকাভাবে সাজঘরে ফিরিয়ে করেন টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির উদযাপন। আর ওখানেই থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশ এগিয়ে থাকল ২১৮ রানে। মিরাজ তিনটি ও আরিফুল নেন একটি উইকেট।