সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছেন মুমিনুল হক। তার পরিবর্তে আবারও সাদা জার্সিতে নেতৃত্বে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন জাতীয় দলের একাংশ। সোমবার দ্বিতীয় ধাপে দেশ ছেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ইয়াসির আলি রাব্বি ও তামিম ইকবাল। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে আশার বানী শুনিয়ে গেলেন মিরাজ।
সাকিবের নেতৃত্বে এই সিরিজে দারুণ কিছু করবে বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা ডানহাতি অলরাউন্ডারের। সবাই ফিট থাকলে টেস্টে বাংলাদেশ আবারও কামব্যাক করবে বলেও বিশ্বাস মিরাজের। এসময় ২০১৮ সালের সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সুখস্মৃতিও রোমন্থন করেন ২৪ বর্ষী অলরাউন্ডার।
‘শেষ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছি । ওই অভিজ্ঞতা মজার ছিল। এর আগে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলেছি তখন সাকিব ভাই অধিনায়ক ছিল। এবারও সাকিব ভাই, অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে। যে ক্রিটাররা আছে তারা ইনজুরি ফ্রি থেকে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে দারুণ কিছু হবে।’
‘টেস্টে হয়তো আমাদের খারাপ সময় যাচ্ছে। ব্যাপারটা এমন না যে আমরা পারি না, সবাই কামব্যাক করার চেষ্টা করছে।’

হজ্ব পালন করতে উইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। পূর্ণাঙ্গ এ সফরে বাংলাদেশ দল মুশফিক ও তার অভিজ্ঞতাকে মিস করবে বলেও এসময়য় জানান মিরাজ।
‘মুশফিক ভাইকে অনেক মিস করবো। মুশফিক ভাই থাকলে দলের জন্য অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে। যেহেতু হজ্বের জন্য মুশফিক ভাই নাই, সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।’
২০১৮ সালে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এবার দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সাথে আছে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ১৬ জুন অ্যান্টিগায় শুরু প্রথম টেস্ট। একমাসের দীর্ঘ সিরিজ শেষ হবে ১৬ জুলাই তৃতীয় ওয়ানডের মধ্য দিয়ে।
