প্রত্যাশিত জয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১০২ রানে প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট তোলার পর লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার প্রতিরোধ স্বাগতিকদের জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘ করেছে। শেষ অবধি তামিম ইকবালের দল পেয়েছে ৩৩ রানের জয়।
সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ২৫ ও ২৮ মে।
বাংলাদেশ-২৫৭/৬ (৫০ ওভার); শ্রীলঙ্কা-২২৪/১০ (৪৮.১ ওভার)
মিরপুরে ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে দুইশ পেরিয়ে। সফরকারীদের সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটি বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
৬০ বলে ৭৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলা হাসারাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন সাইফউদ্দিন। দাসুন শানাকার সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৪৭ ও অষ্টম উইকেটে ইসুরু উদানার সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বল ডেলিভারির পর ল্যান্ডিংয়ে পায়ের মাংশপেশীতে চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান ফিরে তুলে নেন উদানার উইকেট। ২৩ বল খেলে ২১ রান করে যান তিনি। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হাসারাঙ্গাকে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে দেন দারুণ সঙ্গ।
লঙ্কান ইনিংসের শেষ উইকেটটিও নেন মোস্তাফিজ। ২৫৭ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পেছনে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। এ অফস্পিনার ১০ ওভারে ৩০ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট।
মোস্তাফিজ তিনটি, সাইফউদ্দিন দুটি ও সাকিব আল হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট। অন্যদের তুলনায় বেশ খরুচে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত বল করা পেসার ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। পাননি কোনো উইকেট। লাল বলের ক্রিকেটের সঙ্গে সাদা বলের ক্রিকেটে দেখলেন বৈপরীত্য।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার পেছনে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। ৮৭ বলে ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মি. ডিপেন্ডেবল।
মন্থর উইকেটে বাংলাদেশ শুরুতে রান তুলেছে ধীরগতিতে। সময়ের সঙ্গে চিত্রটা খুব একটা বদলায়নি। ডেথ ওভারে আরেকটু আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারলে সংগ্রহ আরেকটু বড় হতে পারত। আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৩ বলে ২৭ ও সাইফউদ্দিন ৯ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন।
সেঞ্চুরির দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিক। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৯৯ রানের মাথায় ফিফটি করে ফেরেন তামিম (৫২)। মিঠুন (০) নেমেই আউট হয়ে যান। জোড়া ধাক্কার পর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ মিলে বাংলাদেশকে পথ দেখান। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটির ১০৯ রানে হালে পানি পায় টিম টাইগার্স।
প্রিয় পজিশন তিন নম্বরে ফেরা সাকিব আল হাসান ৩৪ বলে ১৫ রান করে বিলিয়ে আসেন উইকেট।
৫৪ রান করে মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন, তখন রান বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। শেষ অবধি আফিফ-সাইফ জুটিতে আড়াইশ পেরোয় সংগ্রহ।
লঙ্কান স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৪৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুশমন্থ চামিরা, গুনাথিলাকা ও সান্দাকান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।