ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপ বাড়াতে খুলনা-কলকাতা পথে যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই এটা কার্যকর হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বেনাপোল-পেট্রাপোল ব্যবসায়ীদের জন্য একটি উপযুক্ত পয়েন্ট। বেনাপোল বন্দর দিয়ে উভয় দেশের ট্রেডকে ফেসিলিটেড করতে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশি ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের ভিসা প্রদান করা হবে শিগগিরই।
তিনি আরো বলেন, যশোরে একটি ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে খুলনা থেকে ভিসা দেয়া হচ্ছে। গত ঈদের আগে একযোগে ৬০ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দেয়া হয়েছে।
সভায় দুই দেশের বন্দরে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আলহাজ শামছুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান, খায়রুজ্জামান মধু, কামাল উদ্দিন শিমুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন, জামাল হোসেন, কাস্টমস সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রমুখ। সভায় ভারতীয় হাই কমিশনারের হাতে ক্রেস্ট ও ফুল তুলে দেন অ্যাসোসিয়েশন, কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরে হাইকমিশনার বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন, কাস্টমস চেকপোস্ট, ইমিগ্রেশন ও আইসিপি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার বেনাপোলের ওপারে ভারতীয় বাংলাদেশ-ভারত বন্দরের লিংক রোড পরিদর্শন করে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বন্দর ও কাস্টমস স্টেশনে যান। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় কাস্টমসের সহকারী কমিশনার।