শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোবাসার ছায়া সংসদে জয়ী হলো শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত বিরোধীদল। বিতর্ক সংগঠন শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (এসইউডিএস) কর্তৃক আয়োজিত ‘ছাত্র-শিক্ষক বিতর্ক ২০১৭’ তে শিক্ষার্থীদের দ্বারা গঠিত সরকারী দলের উত্থাপিত প্রস্তাবটি ছিল ‘এই সংসদ মনে করে যে, পৃথিবীতে ভালোবাসা বলে কিছু নেই সবই মিডিয়ার সৃষ্টি’। বিতর্ক শেষে কণ্ঠ ভোটে বিরোধীদল জয়লাভ করে।
বিতর্কে বিরোধী দলে ছিলেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নুসরাত জাহান কলি, সহকারি অধ্যাপক, জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভারনমেন্ট বিভাগ এবং সায়মা সুলতানা চৌধুরী, সহকারি অধ্যাপক, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।
শাবিপ্রবির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ছায়া সংসদ অধিবেশনটি শুরু হয়। প্রথমে শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকে একটি জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এবং জঙ্গিবাদ রুখতে সবাইকে একত্রে হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ছায়া সংসদে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী তাসলিমা আকতার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন এবং বলেন অতীতে শাবানা-আলমগীর, রাজ্জাক কবরীদের মতো ভালোবাসা পাওয়া গেলেও বর্তমানে ভালোবাসা সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ।
বিপরীতে সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী সায়মা সুলতানা চৌধুরী প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেন এবং তিনি কিছু পরিসংখ্যান ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সংসদের সামনে তুলে ধরেন।
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বর্তমান ছায়া সংসদের সরকারী দল ও জনগণের ভালোবাসা খুঁজে না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যেখানে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেই অসংখ্য ভালবাসার উদাহরণ রয়েছে, সেখানে পৃথিবীতে ভালোবাসা না থাকার কোন কারণ থাকতে পারে না। এখনো বনলতা সেন আছে, তাদের খুঁজে নিতে হবে।
বিতর্কের পর এসইউডিএস এর সভাপতি চৌধুরী আমির হামজা শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বিতর্কটির মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই অনলাইন।