জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স বলেছেন, মিয়ানমার থেকেই বাংলাদেশে এসেছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান তাদেরকেই করতে হবে।
‘এটি আমাদের ব্যর্থতা, আমরা মিয়ানমারের এই জাতিগত নিধনকে এড়িয়ে গেছি। সংকট সমাধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারকে চাপ দেবে এবং সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এটা সুস্পষ্ট যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ দায় এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
এসময় দলটির অন্যান্য সদস্যরা বলেন, এই সমস্যার কোনো ম্যাজিক সমাধান নেই, নেই কোনো ম্যাজিক কাঠি। আমরা দুই দেশের সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করবো।
এখানে না এলে এই সমস্যার গভীরতা দেখতে পারতেন না বলে জানান দলটির আরেক সদস্য।
প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, এই সফর উভয় রাষ্ট্রকেই সহায়তা করবে। বিষয়টিতে একমত হতে হয়তো সময় লাগবে তবে সেটা দ্রুত করতে হবে। সেটা মিয়ানমারকে করতে হবে।
‘‘এতে বাংলাদেশ কোনো পার্টি না হয়েও যে বাংলাদেশ অসুবিধা ভোগ করছে সেই ব্যাপারে সবাই একমত। সমস্যাটি যে মিয়ানমারের এবং এর সমাধানও যে তাকেই করতে হবে সেই ব্যাপারেও তারা একমত। তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো শক্ত পদক্ষেপের ব্যাপারে তারা একমত নন। কেউ মনে করেন আজই, কেউ মনে করেন আরো পরে।’’
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে শনিবার কুয়েত থেকে বিমান যোগে সরাসরি কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষিণ আমেরিকান দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো মেজা-চুয়াদ্রার নেতৃত্বে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির তুমব্রুর কোনারপাড়া জিরো পয়েন্ট যান।
নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখে তারা উখিয়ার বালুখালী-০২ ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা সংকটের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে যাবে দলটি।