মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধি দল।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল।
বিমানবন্দর থেকে প্রতিনিধিদলটি সরাসরি চলে যান কুতুপালং ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার।
অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন চীনের প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
সেখান থেকে বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করবেন তারা। জিমিং ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আরও আট সদস্য।
মূলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে রোহিঙ্গা ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন লি জিমিং। বিকেলে জেলা প্রশাসন ও ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে।
এর আগে গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায়ও প্রতিনিধি দল পাঠায় চীন। চীনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার।
কিন্তু রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটিও আটকে যায়।
২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।