বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব এলাকার স্থল ও জল সীমার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আবারো রোহিঙ্গা আসার ঢল নেমেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র এড্রিয়ান এডওয়ার্ড বলেন, নতুন এই রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা দেয়া, খাবার, পানি এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ইত্যাদি সরবরাহ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা।
মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র এড্রিয়ান এডওয়ার্ড এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে খুব কাছ থেকে কাজ করে আসছে। গতকাল থেকেই হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা আসার আবারও ঢল নেমেছে বলে জানানো হয় ঐ বিবৃতিতে। এদিকে সোমবার প্রায় ১১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মিয়ানমারের নর্দান রাখাইন রাজ্যের বুথিয়াডং থেকে আবারো রোহিঙ্গারা নতুন করে আসতে শুরু করেছে। মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এবং সহিংসতা থেকে বাঁচতে অনেকেই পালিয়ে অাসতে শুরু করেছে। ১৪ দিন ধরে হাঁটার পর এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। অনেককেই শিশুদের ঝুলিতে করে হাঁটতে দেখা যায়। বাংলাদেশে আসার সময় নাফ নদী পাড়ি দিতে হলেও তাদের মধ্যে অনেক নাড়ী ও শিশু আছে যারা সাতার পারেনা। তাদের বাধ্য হয়ে অন্যর পিজি ব্যাগে করে, সহায়তায় আসতে দেখা গেছে।
নতুন করে আসা এই রোহিঙ্গাদের সীমান্ত এলাকা থেকে সড়িয়ে কুতুপালং এবং বালুখালি এলাকায় ক্যাম্পে বানিয়ে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।ইউএনএইচসিআর পক্ষ থেকে তাদের জন্য পানি থাকার জন্য প্লাস্টিকের সীট সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যান্য সহযোগি সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে এক যোগে কাজ করে নতুন এই রোহিঙ্গাদের জন্য পানি, খাবার, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এই কর্মকর্তা।
আরো নতুন করে আসতে যাওয়া সম্ভাব্য এই রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনএইচসিআর পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যাবাসন এবং শরণার্থী শিবিরে সহায়তা করতে প্রবেশ পথ থেকেই তাদেরকে চিকিৎসা সেবা এবং পানি সরবরাহ করা হবে।
ইউএনএইচসিআর জাতিসংঘের অন্যান্য সহযোগি সংস্থা ডাব্লিউএফপি, ্ইউনিসেফ, অাইওএম, ডাব্লিউএইচও , আইসিআরসি এবং এ সি এফ এর সঙ্গে এক যোগে কাজ করে তাদের জন্য নতুন জায়াগ তৈরি করাসহ তাদের জীবন ধারনের জন্য প্রাথমিক জিনিসপত্র প্রদান করা হবে।