দুই বাসের রেষারেষির মধ্যে পড়ে হাত হারানোর পর রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় তার দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের নেতৃত্বহীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিআরটিসি ও ‘স্বজন পরিবহন’কে ৫০ লাখ করে মোট এক কোটি টাকা দিতে আদেশ দেন।
আগামী এক মাসের মধ্যে ওই দুই বাস কর্তৃপক্ষকে ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। এবং এই টাকা পরিশোধের পর আদালতকে অবহিত করতে হবে। আগামী ২৫ জুন আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় রাজীবের খালা ও রাজীবের গ্রামের এক কর্মকর্তা ওমর ফারুকের নামে যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে এই টাকা রাখতে বলেছেন।
রাজীবের খালা জাহানারা বেগম এবং দুই ভাই হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ ও হাফেজ মেহেদি হাসান বাপ্পি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার আদালতে রাজীবের ক্ষতিপূরণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার সামনে দুই বাসের মাঝে পড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বাংলামটর থেকে ফার্মগেটমুখী বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে ছিলেন রাজীব। সেটি সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগন্যালে এসে থামে। এ সময় একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে দোতলা বাসের পাশের ফাঁক দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ওই সময় রাজীবের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে দোতলা বাসের সঙ্গে ঝুলতে থাকে। রাজীবকে প্রথমে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন।
এরপর রাজীবের মৃত্যু হলে এই তথ্যসহ আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সে আবেদনের রাজীবের ভাইদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন করা হয়।