
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, সারাদেশে একযোগে বন্যা শুরু হয়েছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করছি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। দেশেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে। বন্যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হওয়ায় ত্রাণসমাগ্রী পৌঁছাতে সময় লাগছে। বন্যা চলাকালীন অবস্থায় এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের টেপিবাড়ী এলাকায় বাঁধ ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। বানভাসি অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না-এদিন সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যা শেষ হলেই আপনাদের এলাকা রক্ষা করতে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পর্যান্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। দেশে ত্রাণসামগ্রীর কোন অভাব নেই। সারাদেশে চলমান বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে আশা করছি। সরকার, প্রশাসন ও জনগণ বন্যা কবলিত মানুষকে যেভাবে সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেও তারা একইভাবে সেবা দিয়ে যাবে। এ বছর বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভূঞাপুরে গবাদীপশু আশ্রয়ের জন্য একটি মুজিবকেল্লা করা হবে।

পরে ভুঞাপুর পৌর এলাকায় ও গোবিন্দাসী বাজারে বন্যা কবলিত দুই হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে বন্যা কবলিত বহু মানুষ ত্রাণ নিতে এসে না পেয়ে ফিরে গেছেন। যদিও এই উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ প্রশাসন থেকে মাত্র দুই হাজার লোকের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়। এতে ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বানভাসিরা।
এর আগে দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. এনামুর রহমান।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামিম, দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, আহসানুল ইসলাম টিটু, তানভীর হাসান ছোটমনির, আতাউর রহমান খান প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।