বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা , কর্মচারীরা রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার গাড়ি রেখে নগর ভবনে মেয়রের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভবনের মূল প্রবেশপথের গেট আটকে দিয়ে তার সামনে বসে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মেয়র আহসান হাবিব কামাল কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে করপোরেশনে জেনে দাবি আদায়ে অবস্থান নেয় তারা। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে যেন কোন কর্মকাণ্ড চালাতে না পারেন সেজন্যই মূল গেটের সামনে ময়লার গাড়ি ও ভবনের প্রবেশদ্বার আটকে দেয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, নিয়মিত-অনিয়মিত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আর কোন আশ্বাস নয় এবার বাস্তবায়ন করতে হবে।
মেয়র গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘রবিবারের মধ্যে যদি পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজে যোগদান না করে তাহলে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নতুনভাবে কর্মচারী নিয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ড পরিচ্ছন্নের কাজে নেমে পড়বে। মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আগেই ১ মাসের বেতন ব্যংকে দেয়া হয়েছে রবিবার আরো ১ মাসের দেয়া হবে, এতে করে তাদের বকেয়া থাকছে না।
অপরদিকে নিয়মিতদের ২ মাসের বেতন ও ৪টি প্রভিডেন্টফান্ডের টাকা কালকের মধ্যে দেয়া হবে। তাদেরও আমার আমলে আর কোন বকেয়া থাকবে না। তবে আরো যে ৩ মাস বকেয়া তা পূর্বের মেয়রের আমলের। রবিবার আমরা করপোরেশনে যাব, তারা যদি এতে রাজি না হয় এবং কোন বাধা প্রদান করে তবে সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহয়তা নেয়া হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে যেখানে বিধি মোতাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকার কথা ৫৪২জন সেখানে প্রায় ২১৩১ জন নিয়ে সিটি করপোরেশন চলছে। এ বিশাল সংখ্যক কর্মচারীর দায়ভার বহন করা কারো পক্ষেই সম্ভব না বলে জানান মেয়র কামাল।
আজ রবিবার নগর ভবনে গিয়ে তার আমলের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল তার। এই খবর পেয়ে আবর্জনা ভর্তি ট্রাক নগর ভবনের সামনে এনে রাখে আন্দোলনকারীরা।