
টানা পাঁচ জয় দিয়ে বিপিএলের নবম আসর শুরু করা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল প্রত্যাশিতভাবেই উঠেছে ফাইনালে। অন্যদিকে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টানা তিন ম্যাচ হেরে শুরু করার পর দেখিয়েছে দুর্দান্ত ঝলক। টানা ১০ ম্যাচ জিতে সবার আগে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপার দ্বৈরথে নামবেন মাশরাফী-ইমরুল। দুজনের সামনেই বড় অর্জনের হাতছানি।
বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফী, নেতৃত্ব দিয়ে আটটির মধ্যে চারটি শিরোপা জিতিয়েছেন দলকে। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে দু’বার, কুমিল্লা ও রংপুর রাইডার্সকে এনে দিয়েছেন একটি করে ট্রফি।
ইমরুলের অধীনে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা। তৃতীয়বারের হাতছানি তার সামনে। আর কুমিল্লা অপেক্ষায় চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলার।

জিতলে পঞ্চম শিরোপাজয়ী অধিনায়ক হবেন মাশরাফী, আর সিলেট বিপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হবে। ফাইনালে কখনো হারেনি কুমিল্লা। তেমনি মাশরাফীও যতবার ফাইনাল খেলেছেন, শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন।
কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল আরেকটি ফাইনাল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘ওরা ভালো ক্রিকেট খেলছে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। কারণ আমরা প্রথম তিনটা ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে হবে। সবাই খুব পরিশ্রম করেছে এবং সবাই চেয়েছে যে আমরা ফাইনাল খেলবো।’
‘ফাইনালে আসতে পেরেছি। আশা করি আমরা একইভাবে এগোবো। শুধু ফাইনাল হিসেবে নয়, কালকে আমরা একটা ম্যাচের মতো পরিকল্পনা করেই ম্যাচ খেলবো। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ভালো ফলাফল আসবে।’
স্ট্রাইকার্স ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ফাইনালের ভাবনা নিয়ে জানালেন, ‘গত দুইটা বিপিএল ফাইনাল হেরেছি। আমার কাছে মনে হয় আরেকটা সুযোগ আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ওইটাই আশা থাকবে যে, আমরা যেন ভালো ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিততে পারি। এটাই মূল লক্ষ্য।’
‘তবে ওই নির্দিষ্ট দিনে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত ফলাফলের চেয়ে দলের ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জিততে পারলে আমার ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো। ভবিষ্যতে বলতে পারব, আমি ওই দলের একটা অংশ ছিলাম। দলের জন্য খুব জরুরি।’
ফাইনালের আগে ক্যাপ্টেন্স ফটোসেশনে অংশ নিতে পারেননি মাশরাফী। ট্রফি নিয়ে মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশনে হাজির হন সিলেট স্ট্রাইকার্সের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল।
যানজটের নগরীতে মেট্রোরেল এক স্বস্তির নাম। আধুনিক এ বৈদ্যুতিক রেলে চড়লেন ক্রিকেটাররা। আইকনিক স্থান উত্তরা দিয়াবাড়িতে হয়ে যায় বিপিএল ফাইনালের আগের ফটোসেশনও।
শিরোপার লড়াই শুরুর আগে রয়েছে কনসার্ট। পারফর্ম করবেন জেমস-মাকসুদ-টিপু। খেলার রোমাঞ্চ উপভোগের পর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দেখা যাবে আতশবাজির রোশনাই। বাড়তি আয়োজন থাকায় বিপিএলের ফাইনালের টিকিটের দাম দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টিকিটের মূল্য সর্বোচ্চ ২ হাজার, সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা ধরা হয়েছে।