চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আজ মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। এছাড়া মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও গ্রহণ করেছে পৃথক কর্মসূচি।

সকাল থেকেই টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করছে ভাসানী অনুসারীরা। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ আজ এ নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে ওরস শরীফ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাজার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে।

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি- ফারাক্কা লং মার্চ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন পিতার মতো।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে দেশ বরেণ্য এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। তিনি আমৃত্যু কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার মৃত্যুদিনকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।