ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এখন মমতার পিএচডি ডিগ্রি নিয়ে আর কারো মাথাব্যথা না থাকলেও এবার তাকে নিয়েই পিএইচডি করছেন ভারতীয় এক শিক্ষার্থী।
তার নেতৃত্বগুণে তাকে নিয়ে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
এ শিক্ষার্থী নাম রেজাউল ইসলাম মোল্লা। বয়স এখন ২৫ বছর। ছোটবেলা থেকেই মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বগুণ বিমুগ্ধ করে রেজাউলকে।
বর্ধমান জেলার হাতিটোটা এলাকার ছেলে রেজাউল বলেন, মমতাকে নিয়ে পিএইচডি হবে তার অপ্রতিরোধ্য মানসিক শক্তির একটি গীতিকাব্য। ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে দরিদ্র্যদের জন্য লড়াই করতে দেখেছি। আমি দেখেছি কিভাবে তিনি রাজনৈতিক গুণ্ডাদের হাত থেকে আমার বাবা-মা ও গ্রামবাসীদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন।
ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর শেষ করা রেজাউল মমতার সাংগঠনিক ক্ষমতার প্রশংসা না করে পারেন না।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলে, খুবই সমসাময়িক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একই সঙ্গে বেশ কঠিন একটি বিষয় নিয়ে মোল্লার পিএইচডি করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা না করে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরে খুবই খুশি একই সঙ্গে গবেষণাপত্রটি দেখতে খুবই আগ্রহী।
১৯৮৪ সালে যখন লোক সভায় নির্বাচিত হন মমতা ব্যানার্জী; তখন সবাই জানতো মমতা আমেরিকার ইস্ট জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন।
পরে জানা যায় সেই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই নেই। সেই নিয়েই চলে যত আলোচনা-সমালোচনা।