ভোলায় ঈদের আগের রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার দুই আসামি আল আমিন ও মঞ্জুর আলমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোররাতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মরদেহ দু’টি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, বুধবার রাতে রাজাপুর এলাকায় দু’দল জলদস্যুর মধ্যে গোলাগুলি চলছিল, এ সময় পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের দিকে তারা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে জলদস্যু গ্রুপ পালিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে পুলিশ দু’জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও দু’টো রামদাসহ বেশ কিছু ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
গত রোববার ঈদের আগের রাতে সদর উপজেলার চরসামাইয়া এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় আল আমিন ও মঞ্জুর আলমকে আসামি করে মামলা হয়।
রাজাপুর বেড়িবাধ এলাকা থেকে উদ্ধার ওই মরদেহ দু’টি আল আমিন ও মঞ্জুর আলমের বলে মর্গে শনাক্ত করেন ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা।
তবে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গ এলাকায় নিহতদের কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি।