ইসরায়েলের সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নেয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালনের পর এবার সরে দাঁড়ালেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আগস্টে পরিবারিক ছুটিতে ইসরায়েল যান প্রীতি। ওই সময়ই তিনি নেতানিয়াহুসহ দেশটির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ১২টি বৈঠক করেন। অভিযোগ অনুসারে, সেসব বৈঠক ছিল রাষ্ট্রীয় এবং সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। এখানেই ছিল আসল সমস্যা। কেননা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সফরে দেশের বাইরে গেলে মন্ত্রীদের অবশ্যই সরকারকে জানিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এমন কিছুই ব্রিটিশ সরকারকে জানাননি প্রীতি।
ছুটি শেষে ব্রিটেন ফিরেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশও করেন তিনি।
তবে অভিযোগ ওঠার পর নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির ৪৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রীতি প্যাটেলকে তার দলের উঠতি তারকা বলে মনে করা হতো। কনজার্ভেটিভ পার্টির অধিকাংশেরই আশা ছিল, রাজনৈতিক জীবনে দ্রুতই অনেক দূর এগোবেন তিনি। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্কের অভিযোগের পর সোমবার এজন্য ক্ষমা চেয়ে প্রীতি বলেন, তার কাছ থেকে যে উচ্চমান আশা করা হয়ে থাকে, তার কর্মকাণ্ড এর চেয়ে নিম্নমানের হয়ে গেছে।
প্রীতি প্যাটেল পদত্যাগ করলেও তার কর্মকাণ্ড একজন মন্ত্রীর আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন দাবি করে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করেছে লেবার পার্টি।