ব্রিটিশ এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আসা ক্রমাগত অভিযোগের খাতায় যুক্ত হলো আরও একটি নাম। এবার টেরেসা মে’র সবচেয়ে সিনিয়র মন্ত্রী ডমিয়ান গ্রিনের কম্পিউটারে ২০০৮ সালে পর্নোগ্রাফি পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মেট্রোপলিট্রন পুলিশের সাবেক কমিশনার বব কুইক এই অভিযোগ করেন। তবে ডমিয়ান গ্রিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘রাজনৈতিক কালিমা লেপন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বব কুইক বলেন, এক বিতর্কিত অভিযানে আমার কর্মকর্তারা হাউজ অব কমন্সে গ্রিনের অফিসের কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পায়। তবে এতে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি।
গ্রিনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে যে অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ তদন্ত করা হয়, ক্যাবিনেট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বব একথা বলেন। তবে তিনি গ্রিনের প্রতি কোন আক্রোশ বয়ে আনেননি বলে জানান।
মূলত গ্রিনের বিরুদ্ধে এক নারী সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাবিনেট অফিসের তদন্ত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গ্রিনের চেয়ে ৩০ বছরের কম বয়সী ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে গ্রিন দ্রুত তার শরীরে স্পর্শ করে। এছাড়াও এর এক বছর পরে গ্রিন তাকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাঠান।
এই যৌন হয়রানির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান গ্রিন। এছাড়া ২০০৮ সালে তার কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে বলে যে অভিযোগ কার হয়েছে, সেটিও মিথ্যা বলে জানান তিনি। গ্রিন বলেন, নয় বছরের পুরনো ওই অভিযোগ রাজনৈতিক কালিমা লেপনের জন্যই করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ এমপি-মন্ত্রীদের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংসদের কর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ক্ষোভ প্রকাশ করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।
এর মধ্যেই বুধবার রাতে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ এবং ব্যক্তিগত আচরণের কারণে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন। এছাড়া তিনজন মন্ত্রীকে তাদের আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ আসায় তাদের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।