চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

বোলিংয়ে সেরা দশের ৮ জনই বাংলাদেশের

বঙ্গবন্ধু বিপিএল-২০২২

পর্দা নামল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের অষ্টম আসরের। রোমাঞ্চ ছড়ানো ফাইনালে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে ইমরুলের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাট-বলের লড়াই ছড়িয়েছে উত্তাপ।

তিন ভেন্যুতে আসরে ছিল চার-ছক্কার ফুলঝুরি। ব্যাটারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে সমানে-সমান লড়েছেন বোলাররাও। কাটার, স্লোয়ার আর সুইং-ইনসুইংয়ে অনবদ্য ছিলেন পেসাররা। স্পিনাররাও কম যাননি।

Bkash July

ব্যাটিংয়ে সেরা দশে বিদেশিদের দাপট থাকলেও বোলিংয়ে জায়গাটা ধরে রেখেছেন দেশের বোলাররা। তালিকায় মোস্তাফিজ-সাকিবের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নিজেদের চিনিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়, তানভীর, শহিদুলের মতো তারকারা। আসরে সেরা দশ বোলারদের ৮ জনই বাংলাদেশের।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক বোলিংয়ে সেরা দশে কারা-

Reneta June

মোস্তাফিজুর রহমান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): টাইগার পেস অ্যাটাকের অন্যতম নাম মোস্তাফিজ চ্যাম্পিয়ন ভিক্টোরিয়ান্সদের হয়ে ছিলেন উজ্জ্বল। পুরো আসরে বল হাতে দেখিয়েছেন ক্যামিও, শিকার করেছেন সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট। ১১ ম্যাচে ৩৮.৪ ওভারে দিয়েছেন ২৫৬ রান। ১৩.৪৭ গড়ে বোলিং করা ফিজের পাশে রয়েছে আসর সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় ফিরিয়েছিলেন ৫ ব্যাটারকে। রান দেয়ার ক্ষেত্রেও আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলতে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা ‘ফিজ’ ছিলেন যথেষ্ট কৃপণ, ওভারপ্রতি এ বাঁহাতি পেসারের থেকে ব্যাটাররা নিতে পেরেছেন ৬.৬২ রান করে।

ডোয়াইন ব্রাভো (ফরচুন বরিশাল): দলকে শিরোপার শেষ লড়াইয়ে তুলতে সাকিবের পর অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও প্রমাণ রেখেছেন টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। বরিশালের হয়ে আসরে ১০ ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট তার। ১৬.৭২ গড়ে উইকেট তোলার ব্রাভো ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৭.৭৮ রান।

সাকিব আল হাসান (ফরচুন বরিশাল): ব্যাট হাতে দুর্দান্ত আসর কাটানো বরিশাল অধিনায়ক বল হাতেও ছিলেন অনবদ্য। শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিপক্ষকে ভুগিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। ১১ ম্যাচে ৪৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। সেরা তিনে জায়গা করে নেয়া স্পিনার রান দেয়ার ক্ষেত্রে ছিলেন কৃপণ। মারমার-কাটকাট সংস্করণে ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৫.৩৫ রান করে। ২৩ রানে ৩ উইকেট তার আসর সেরা বোলিং ফিগার।

তানভীর ইসলাম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): দলকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এ স্পিনার। ১২ ম্যাচে ৪৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে জমিয়েছেন সাকিবের সমান ১৬ উইকেট। আসরে সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানে ২ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৭.৬৫ রান।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স): বিপিএলের অষ্টম আসরে যেকজন তরুণ পারফর্ম করেছেন, তার অন্যতম নাম এ বাঁহাতি পেসারের। বল হাতে বহু ম্যাচের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় উইকেট শিকারের তালিকায় রয়েছেন সেরা পাঁচে। ৮ ম্যাচে ২৪.৩ ওভার বোলিংয়ে দিয়েছেন ২২৪ রান, নিয়েছেন ১৫ উইকেট। সাকিব-তামিমদের জাতীয় দলের সতীর্থ হতে মুখিয়ে থাকা পেসার ১২ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আসরে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৯.১৪ রান করে।

বোলিংয়ে সেরা দশে বাংলাদেশের আধিক্যের মতো ছিল পেসারদের দাপট। সেরাদের সেরা দুজনই পেসার। সেরা দশের ছয়জন পেসার। আসর সেরাদের বোলিংয়ে ছয় নম্বরে আছেন শহিদুল ইসলাম। ৮ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেসার নিয়েছেন ১৪ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২৫ রানে ৩ উইকেট। সাত নম্বরে আছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। টাইগারদের পেস আক্রমণের অন্যতম এ পেসার চট্টগ্রামের হয়ে ১২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট।

সেরা দশে দ্বিতীয় বিদেশি হিসেবে ১১ ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন লঙ্কান পেস বোলিং অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা, আছেন আটে। নয়ে চট্টগ্রামের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১৩ উইকেট। বন্দরনগরীর হয়ে ডানহাতি এ স্পিনার খেলেছেন ১২ ম্যাচ। সেরা দশে আছেন সিলেটের হয়ে আসর মাতানো স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংসে নিয়েছেন ১১ উইকেট।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View