যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি’র নিচে কমপক্ষে ৭ হাজার মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানিয়েছে, মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের প্রথম মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র ‘ইনসেইন অ্যাসাইলাম’ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মালিকানাধীন ২০ একর জমি জুড়ে ছিল। সেখানে বর্তমানে ক্যাম্পাস মেডিক্যাল সেন্টার রয়েছে।
ওই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে প্রথম খোঁড়াখুড়ি শুরু করে।
রাস্তা তৈরির জন্য খোঁড়াখুড়ির এক পর্যায়ে মাটির নিচ থেকে কিছু মৃতদেহসহ কফিন আবিষ্কার করেন সংশ্লিষ্টরা। সেগুলোই ওই এলাকায় খুঁজে পাওয়া প্রথম মৃতদেহ। এরপর থেকে আরও অনেকগুলো কফিন খুঁড়ে তোলা হয়েছে।
নতুন স্থাপনা নির্মাণের জন্য সবগুলো মৃতদেহ বের করতে হবে। আর মৃতদেহ বের করলে সেগুলো সঠিক স্থানে আবার কবরও দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ কাজে প্রতিটি মৃতদেহ খুঁড়ে তোলা এবং আবার কবর দেয়ার পেছনে আনুমানিক ৩ হাজার ডলার করে মোট ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় হবে।
তবে এ খরচ কমাতে ক্যাম্পাস মেডিক্যাল সেন্টার বলছে বিকল্প উপায়ের কথা। বাইরের লোক দিয়ে না করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই লাশ তোলা এবং দাফনের কাজ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পত্রিকা ক্ল্যারিয়ন-লেজার।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, নিজেরা করলে কাজটি ৮ বছরে ভাগ করে করতে হবে। এতে সময় একটু বেশি লাগলেও প্রতি বছর ৪ লাখ ডলারের মধ্যেই ব্যয় সীমিত রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও মৃত ওই ৭ হাজার মানসিক রোগীর স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ এবং একটি গবেষণাগার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে মিসিসিপি ইউনিভার্সিটির।
ওই গবেষণাগারে ওই রোগীদের দেহাবশেষ এবং সঙ্গে পাওয়া পোশাক ও কাঠের অবশেষও পরীক্ষা করা হবে।