তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত বর্ষা মৌসুমে তিস্তার ভাঙ্গণে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নসহ সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গণে সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে যায়। এপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিক তীর প্রতিরক্ষার উদ্যোগ নিলেও তিস্তার প্রবল স্রোতের কারণে কাজটি বন্ধ রেখে শুস্ক মৌসুমে কাজটি সম্পন্ন করার কথা বললেও গত ৮ মাসে কাজটির তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কাজটি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিস্কাশন প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় ২শ ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং, ৭৫ কেজি ধারণ ক্ষমতা ৮১ হাজার ৭শ ৪৬টি স্যান্ড-সিমেন্ট গানি ব্যাগ প্লেসিং সহ ১ হাজার মিটার অংশে প্রাথমিক তীর প্রতিরক্ষার জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে মো. হাসিবুল হাসান নামে এক ঠিকাদারকে গত ৮ মাস আগে কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সামান্য কিছু বস্তা ডাম্পিং করা হলেও তিস্তার প্রবল স্রোতে ও বন্যার কারণে কাজটি বন্ধ রাখা হয়।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজটি সমাপ্তির কথা থাকলেও এলাকাবাসী এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেছেন।
