নিরাপত্তা বেড়াজালের কারণে নিয়মিত বইমেলায় আসতে না পারার কষ্টের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আগে স্কুল বা কলেজ জীবনে এই মেলায় অনবরত ঘুরে বেড়াতাম। অনেক সময় ধরে থাকতাম। এখন আর সেই স্বাধীনতা পাচ্ছি না। এখন ইচ্ছা থাকলেও আসা যায় না। কিন্তু মেলায় আসার সেই ইচ্ছে এখনও কমেনি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন: যে জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে আসে সেই জাতিকে কেউ হেয় প্রতিপন্ন করবে সেটা আমাদের কামনা নয়। আমরা বিজয়ী জাতি, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: বিশ্ব এখন যে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে, সেটাই লক্ষ্য ছিল। আমরা আজ এগিয়ে যাচ্ছি। বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বে একটি মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশেকে আমার এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে সম্মান পাবে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ ছোট দেশ হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন: ভাষা আন্দোলনসহ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বারবার মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো। তবে সত্যকে চাপা দেয়া যায়নি।
বক্তব্যের শেষে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।
এর আগে ভাষা সাহিত্য বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট ১০ লেখকের হাতে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার কবিতায় মাকিদ হায়দার, কথাসাহিত্যে ওয়াসি আহমেদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় স্বরোচিষ সরকার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, অনুবাদে খায়রুল আলম সবুজ, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণে ফারুক মঈনউদ্দীন, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে নাদিরা মজুমদার, নাটকে রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যে রহীম শাহ এবং ফোকলোরে সাইমন জাকারিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখকদের হাতে তিন লাখ টাকা, সনদ ও স্মারক তুলে দেওয়া হয়।