বিজ্ঞাপন
নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী। এমনকি শীতকালে অন্যান্য সময় বাজার দর কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও এখন বাজারে আলু আর পেঁয়াজ ছাড়া কোথাও দামে স্বস্তি নেই। ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় কেনাকাটায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি বছর শীতকাল এলেই বাজারে কাঁচা সবজির সরবরাহ বাড়ে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ কিছুটা বেশি সবজি খাওয়ার সুযোগ পায়। তবে এবার চড়া দামের কারণে সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এতে শীতের দিনে একটু বেশি সবজি খাওয়ার আশা জলাঞ্জলি দিতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে।
ক্রেতারা বলছেন, তেলের দামে নাভিশ্বাস উঠছে সবার। তিনমাসের ব্যবধানে ভোজ্য তেলের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। বেড়ে যাওয়া ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করতে কেনাকাটা কাটছাঁট করতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ফলন ও সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি। সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি। ব্রয়লার মুরগি প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ২৭০ টাকা। ডিম এক ডজন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমরা মনে করি, প্রতিনিয়ত যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং করা হলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের এমন নাভিশ্বাস উঠত না। এর মধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সত্ত্বেও গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। এমনটা হলে সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়বে বলে আমাদের শঙ্কা। জনভোগান্তির বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন