ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আগামী বিজয় দিবসের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়ে পাঁচ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্মৃতি চিরন্তনে অনশন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের এম এস এস (সান্ধ্যকালীন) দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ।
ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানানো হয়। সড়ক ও দেয়াল লিখনের মাধ্যমে তারা ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তবে রোববার রাত থেকেই কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন।
বুধবার বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ওয়ালিদ আশরাফ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। অনশনের সময় ওয়ালিদ শুধু পানি খাচ্ছেন। অনশনের ৫ম দিনে এসেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় আমরা হতাশ। প্রশাসনের উচিৎ তার দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ডাকসু নির্বচনের ঘোষণা দেয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী মোবাইলে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার জায়গা। সে আমাদের কোন কিছু না জানিয়েই অনশন শুরু করেছে। সে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে পারত বা লিখিতভাবে তার দাবি জানাতে পারত। কিন্তু সে এ ব্যাপারে আমাদের অবহিত করেনি। তাই আমরাও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছি না। তবে সে চাইলে যেকোন সময় আমার সাথে কথা বলতে পারে, তার দাবি-ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। আমি তাকে স্বাগত জানাব।
ওয়ালিদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করছি না। গত ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে কিন্তু ফলাফল ‘শূন্য’। যদি আমি একা এই দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছে যেতাম সেটা কোন গুরুত্বই পেত না। তাই আমি অনশনকেই এই দাবি আদায়ের প্রতিবাদ হিসেবে বেছে নিয়েছি।
সবশেষে ওয়ালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারন শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তার এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে।