ডিজিটাল হওয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই), চালু হয়েছে মোবাইলে লেন-দেনের অ্যাপ ‘ডিএসই মোবাইল’ অ্যাপ।
অ্যাপটি উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, এতে গুজব নির্ভরতা কমবে; শেয়ার বাজার স্থিতিশীল হবে। মতিঝিল কেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে শেয়ার বাজার সত্যিকার পুঁজি সংগ্রহের উৎস হবে বলেও আশা তার।
যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ নাসডাক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফ্লেক্সট্রেড এর সঙ্গে চুক্তির ৯ মাসের মধ্যেই চালু হলো মোবাইলে শেয়ার বেচা-কেনার অ্যাপ ‘ডিএসই মোবাইল’। এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড চালিত যেকোন স্মার্ট ফোনে বিশ্বের যেকোন জায়গায় বসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
বিষয়টি শেয়ার বাজারের জন্য অগ্রগতি, তবে অর্থমন্ত্রীর জন্য এর চেয়ে বড় স্বস্তি মিছিল ভাংচুরের শংকা কমে যাবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, একটা মোবাইলের মাধ্যমে একজন ব্রোকার তার সব ব্যবসাটা করতে পারবে। এখন যে কোন ব্যবসায়ী তার মোবাইলের মা্ধ্যমে তাদের লেনদেন করতে পারবে তাকে আর ডিএসই সিএসইতে আসতে হবে না।
এই এলাকায় ২০১০ সালের পর থেকে যে মিছিল মিটিং হয় তা কমে যাবার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন ট্রেড করতে অনেকেই আর এখানে আসতে হবেনা ফলে দিলকুশা মতিঝিল এলাকায় লোকজন কমে যাবে। শোভাযাত্রা, মিছিলে লোকজন কমে যাবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অ্যাপের কারিগরি অংশীদার ফ্লেক্সট্রেড এর প্রধান নির্বাহী মিশেল ব্লাংকো জানান, সারা দেশের ৫ হাজারেরও বেশি ডিলারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তারা। আর গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় কড়া নজরদারী থাকবে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের।
বিএসইসি চেয়ারম্যান ডক্টর এম খায়রুল হোসেন বলেন, কখনো যদি কোন রকম উত্থান পতন হয়, সেখানে সমস্ত দেশ দেশব্যাপি তার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে একজন মোবাইল কিনলেই শুধু ব্যবহার করতে পারবে না তা না; এজন্য তাকে মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
ডিএসই মোবাইল অ্যাপ কার্যক্রমের ডেটা সরবরাহে অংশী হয়েছে টেলিকম কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড।