টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ল’ কলেজের ছাত্রী রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনছুর মিয়ার বিচারিক আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
প্রথম দিন মামলার বাদি অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম সাক্ষ্যপ্রদান করেন। রোববার ও সোমবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।
২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে হাজির করার পর তারা প্রত্যেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।