নানা অজুহাতে জোর করে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন চলতি বছরেই সাবেক হওয়া যুবরাজ সিং।
২০০৭ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে ভারতের অন্যতম কারিগর ছিলেন যুবরাজ। ২০১১ সালের পর ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে ফিরেছিলেন ক্রিকেটে।
কিন্তু ফেরার পর তাকে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট দিতে বাধ্য করে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনও বলে দেয়া হয়, সেই টেস্টে উতরেই খেলতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যুবরাজ অভিযোগ করেছেন, তাকে বাদ দেয়ার জন্যই এমন নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই নিয়মকে প্রহসন বলেই দাবি তার।
‘আমার চোট ছিল এবং আমাকে বলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে। আর হঠাৎই সামনে চলে এল ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। তারা আমাকে দলে নেয়ার ব্যাপারে ইউ-টার্ন নিল। তখন ৩৬ বছর বয়সে আমাকে এই টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। আমি টেস্টে পাসও করে যাই। তারপর আমাকে বলা হল ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে।’
‘আসলে ওরা ভেবেছিল আমি ইয়ো-ইয়ো টেস্টে পাস করতে পারব না, আমার বয়সের জন্য। তারপর আমাকে ছেঁটে ফেলাটা সহজ হবে। এটা ছিল অজুহাতের একটা ধরণ।’
যুবরাজ শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। গ্রুপপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরিও করেন। পরে পুরো টুর্নামেন্টে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান পরে আরও ৮-৯টি ম্যাচ খেলেছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দুই ম্যাচে। তারপরও তাকে বাদ দেয়ায় বেশ মুষড়ে পরেন ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়।
‘কখনও ভাবিনি ৮-৯টি ম্যাচের মধ্যে দুটো ম্যাচের সেরা হওয়ার পরও আমাকে দল থেকে বাদ দেয়া হবে। আমার মনে হয় এটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, ১৫-১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছে তাদের কিছু না বলে এভাবে বসিয়ে রাখা। একই ঘটনা ঘটেছে বীরেন্দ্র শেবাগ ও জহির খানের ক্ষেত্রেও।’
‘যে খেলোয়াড়ই হোক না কেনো, দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির তার সঙ্গে বসে কথা বলা উচিৎ। নতুন প্রজন্মকে কীভাবে উঠিয়ে আনা উচিত সেটাও শোনা উচিৎ। এটা শুনলে শুরুতে খারাপ লাগতে পারত। কিন্তু বুঝতাম যে সত্যি কথাটা মুখের উপর বলে দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে এটা হয় না।’